নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গায় বিয়ের প্রস্তুতির সময় ইউএনওর হস্তক্ষেপে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর (১৫) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) বিকেলে উপজেলার মির্জাপুরদিঘা গ্রামের সন্নাসীতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজিনা আক্তার।
এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থী মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতো। সে ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
নলডাঙ্গার ইউএনও রোজিনা আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন মির্জাপুরদিঘা গ্রামের সন্নাসীতলা এলাকায় বাল্যবিয়ে হচ্ছে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে বিকেলে জনৈক রফিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
এ অবস্থায় বরকে পাওয়া না গেলেও বরযাত্রীর আনাগোনা ছিল এবং বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এমনকি বিয়ে পড়ানোর জন্য স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামকেও সেখানে উপস্থিত রাখা ছিল। এসময় বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়।
কারণ ইতোপূর্বে ওই মেয়েটির বিয়ে হয়েছিল। সেখানে বিচ্ছেদের পর আবার সে পড়াশুনা শুরু করে। এ অবস্থায় তার পরিবার সদর উপজেলার এক ছেলের ফের তার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়ের বয়স মাত্র ১৫ বছর ২ মাস পূর্ণ হয়েছে। এ অবস্থায় তার বিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই এই বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে না দেওয়ার জন্য তার পরিবারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৩
আরএ