ঢাকা: ২০১৯ সালে দেশজুড়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) চালানো ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইন মেনে করা হয়েছে। এতদিন পর সংক্ষুব্ধ হয়ে কেউ নিজেদের নির্দোষ দাবি করতেই পারেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। ২০১৯ সালে র্যাবের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক দুই কাউন্সিলরের সংবাদ সম্মেলন বিষয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, রোববার (২৮ মে) ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ও তারেকুজ্জামান রাজীব। এ সময় মিজান দাবি করেন, ২০১৯ সালে এক পরিস্থিতিতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আমাকে আটক করা হয়। যদিও এর আগে আমার নামে থানায় কখনো কোনো মামলা ছিল না। ওই সময় আমার বিরুদ্ধে সাজানো সব অভিযোগ আনা হয়। সরকারের ওই অভিযান ছিল ক্যাসিনোবিরোধী। অথচ এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে আমি সম্পৃক্ত না থাকলেও সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সরাসরি ইন্ধনে ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ হারিস-আনিসের মদদে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমার তো অত্যাধুনিক লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এরপরও আমার কেন ভাঙাচোরা অস্ত্র লাগবে? কিন্তু আমার বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা না পেলেও অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন সাবেক কাউন্সিলর রাজীব বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রভাবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের (জোসেফ-হারিস-আনিস) উদ্দেশ্য ছিল ভাতিজাকে কাউন্সিলর বানাবে; আর সেটা করেছেনও।
সাবেক দুই কাউন্সিলরের সংবাদ সম্মেলন বিষয়ে র্যাবের মন্তব্য কী জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, সাবেক দুই কাউন্সিলের যে অভিযোগ তা সংক্ষুব্ধ হয়ে যে কেউ করতে পারেন। তবে আমাদের যে ক্যাসিনো অভিযান তা দেশবাসী দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে একটি শ্রেণী দুর্নীতির মাধ্যমে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করছে-এমন অভিযোগে আমাদের অভিযান (ক্যাসিনো বিরোধী) ছিল। শুধু উনাদের দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযান না, আমরা সে সময় আরও অভিযান করেছি, কিন্তু কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।
সাবেক দুই কাউন্সিলের অভিযোগের বিষয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, ২০১৯ সালে আমরা অভিযান চালিয়েছি। তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কোনো অভিযোগ থাকলে এতদিনে তারা র্যাব সদর দপ্তর, বিজ্ঞ আদালত কিংবা পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারতেন। কিন্তু এতদিন পর তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করছেন! এটা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি হিসেবে করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা তদন্তাধীন। আর আদালত বলতে পারবেন, কারা দোষী ছিলেন, কারা দোষী ছিলেন না। অভিযানগুলো আমরা পরিচালনা করেছি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং নিয়ম মেনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৩
এমএমআই/এসআইএ