ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য পরিবেশ শৃঙ্খলা জরুরি: তাজুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৩
বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য পরিবেশ শৃঙ্খলা জরুরি: তাজুল বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ ও গোলটেবিল আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বসবাসযোগ্য ঢাকা নগরী গড়তে সরকার নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং সেসব উদ্যোগের বাস্তবায়নও দৃশ্যমান। নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা ও দুর্বৃত্তায়ন উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্তির ফলে পরিবেশ দূষণসহ দখলদারিত্বের সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হতে আমাদের সময় লাগছে।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসম্ভবকে সম্ভব করে যেভাবে দারিদ্র্যসীমা হ্রাস করেছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, এলডিসি উত্তীর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে, সেভাবে পরিবেশ দূষণ রোধে শৃঙ্খলাও একদিন আমরা অর্জন করব, বলেন মন্ত্রী।

শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স কার্যালয়ের (বিআইপি) কনফারেন্স হলে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ উপলক্ষে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ ও গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘২৮ বছরে রাজধানীর জলাধার ও সবুজ নিধন বাস্তবতা ও উত্তরণের পথনকশা’ শিরোনামে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। গোলটেবিল আলোচনা যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এবং নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মানুষই পরিবেশের দূষণ করে এবং মানুষই পারে দূষণ প্রতিরোধ করতে। দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ না হলে ঢাকার নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে যা অর্জন হয়েছে, তা অন্য কোনো সরকারের সময় হয়নি জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এমডিজি অর্জন করেছি, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রায় কাজ করছি, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে ডেল্টা মহাপরিকল্পনাও শেখ হাসিনা নিয়েছেন।

তিনি বলেন, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা শুধু বর্তমানের কথা চিন্তা করেননি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, মুদ্রার যেরকম এপিঠ-ওপিঠ উভয় দিকই রয়েছে তেমনি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ইতিবাচক দিকের সাথে সাথে নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। সেই নেতিবাচক প্রভাবকে কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

ঢাকা শহরের সবুজ ভূমি ও জলাভূমি রক্ষায় এই মহানগরীতে কত মানুষ বসবাস করবে তারও একটি নির্দিষ্ট সীমা থাকা প্রয়োজন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অসংখ্য মানুষের চাপে যেকোনো ভালো পরিকল্পনা ও নাগরিক সুবিধা ভেঙে পড়তে বাধ্য। সীমার অতিরিক্ত মানুষ ঢাকায় বসবাস করাকে নিরুৎসাহিত করতে নানা ধরনের পরোক্ষ নীতিমালাও নেওয়ার সময় হয়েছে।

সরকার সিভিল সোসাইটির সমালোচনা ও যেকোনো আন্দোলনকে সাধুবাদ জানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টার অসংখ্য উদাহরণ আমাদের দেশে রয়েছে।

গোলটেবিল আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিআইপি’র সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিঞা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সভাপতি সুলতানা কামাল, সোসাইটি অব এক্সপার্টস অন এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্টের (সীড) সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইশরাত ইসলাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের (বাস্থই) সহ-সভাপতি স্থপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী নকী, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞন বিভাগের ডিন ও সভাপতি অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পাল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।