ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তেলের জাহাজের ইঞ্জিনরুমে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন বলে খবর।
শনিবার (৩ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রূপগঞ্জে গাজী ব্রিজ সংলগ্ন দড়িকান্দি ডকইয়ার্ডে ‘ওটি সাংহাই এইট’ নামে জাহাজে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
দগ্ধরা হলেন - জাহাজটির স্টাফ আ. মান্নান রাহাদ (২৩), হুমায়ুন কবির (৫৪), তাজুল ইসলাম লিমন (২৪), ইমতিয়াজ আহমেদ (৪২), রুবেল (৩৮), সোহেল (৩৮), নাজমুল (৩৩) ও রাকিব (২৪)।
রোববার (৪ জুন) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইছাপুরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান।
তিনি জানান, দরিকান্দি এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায় ওই জাহাজে। আগুনের লেলিহান শিখা ২০ থেকে ৩০ ফুট উচ্চতায় উঠে যায়। এ সময় জাহাজে থাকা সহজ শ্রমিক দগ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক দগ্ধ শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ওই জাহাজের আগুন নেভায়। ঘটনার পর থেকে সাংহাই জাহাজের ম্যানেজার আকবর আলী পলাতক রয়েছেন।
জাহাজটির স্টাফ আ. মান্নান রাহাদ জানান, তারা জাহাজটিতে করে চট্টগ্রাম থেকে নরসিংদীতে তেল নিয়ে যান। সেখানে তেল আনলোড করে তারা জাহাজটি নিয়ে রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের ডকইয়ার্ডে ভেড়ান। রাতে তারা যখন জাহাজটির ডেকের ওপরে ছিলেন তখন ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তাদের শরীরে মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা নদীতে লাফিয়ে পড়েন। এরপর সাঁতরে পাড়ে উঠেন। তখন সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, জাহাজের আগুনের ঘটনায় মোট ৮ জন রোগীকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের ৪ জনেরই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তবে ভর্তি ৫ জনের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
চিকিৎসকরা জানান, হুমায়ুনের শরীরের ৩০ শতাংশ, তাজুলের ৬৭, ইমতিয়াজের ৩০, রুবেলের ৪৫, সোহেলের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে রাকিব, রাহাদ ও নাজমুলকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
এজেডএস/এমআরপি/এসএএইচ