ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মাদারীপুরের জনজীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মাদারীপুরের জনজীবন

মাদারীপুর: জেলায় ঘনঘন লোডশেডিং ও তাপদাহ চলমান থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে রাতে বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ঘুমে প্রচণ্ড ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

বিদ্যুৎ চলে গেলে তীব্র গরমে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।  

রোববার (০৪ জুন) আলাপকালে সাধারণ মানুষেরা জানান, রাতে ঘুম আসতে না আসতেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর এসে কিছুক্ষণ থেকেই আবার চলে যায়। এতে করে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমে চরম ব্যাঘাত ঘটছে গত কয়েকদিন ধরে। ফলে দিনের বেলায় শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ হয়।  

স্থানীয় ষাটোর্ধ মো. ইকবাল নামের এক ব্যক্তি বলেন, রাতে ঘুম ভেঙেছে বার বার। বিদ্যুৎ এসে কিছুক্ষণ থেকেই চলে যায়। আর গরমে ঘুম ভেঙে যায়। এভাবে সারারাত কেটেছে। শরীর খুবই অসুস্থ লাগছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো. মোতালেব মিয়া জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে শ্রেণি কক্ষে বসে থাকাই কষ্টকর হয়ে উঠে। প্রচণ্ড গরমে ছেলেমেয়েরা অস্থিরতা বোধ করে। পাঠদান ব্যাহত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গরমের তীব্রতায় চরম দুর্ভোগে পরেছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্ভোগে হয় আরও তীব্রতর। দিনরাত মিলিয়ে একটানা দেড় ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে দুর্ভোগে বাড়ছে। স্থানীয় বিভিন্ন মিল-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিপণী বিতানগুলোয়ও থাকছে ক্রেতা শূন্য।  

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে চার্জার ফ্যান ও আইপিএস বিক্রি বেড়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বিক্রিও বেড়েছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, চার্জার ফ্যানের দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেশি।  

তবে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে ফ্যানের দাম আগে থেকেই বেশি। ইদানীং নানা সাইজের চার্জার ফ্যান বিক্রি বেড়ে গেছে।

জেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে। একারণেই ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।  

পল্লী বিদ্যুতের জেলার শিবচর উপজেলার ডিজিএম মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন প্রায় বন্ধের পথে। আমাদের শিবচরে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি মাত্র আট মেগাওয়াট। এই অবস্থায় লোডশেডিং দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।