ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

রাজশাহী: রাজশাহীতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (৫ জুন) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহীর যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান হয়েছে।

কর্মসূচি থেকে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সবার সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এর আগে ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে, শামিল হই সকলে’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহী পর্যটন মোটেল থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়।  

এছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে।  

অনুষ্ঠানের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন্স) নরেশ চাকমা, রাজশাহী পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যান্ড ডিবি) সামসুন নাহার।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদা পারভীন। পরিবেশের ওপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব উল্লেখ্য পূর্বক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুল্যাহ আল মারুফ।

আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন উপায়ে পরিবেশ দূষণ করছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ প্লাস্টিকজাত পণ্যের অপরিকল্পিত ব্যবহার। প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, ভোক্তাসাধারণসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সুন্দর সোনার বাংলা বিনির্মাণে দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই।

তারা আরও বলেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল লক্ষ্য জনসচেতনতা বাড়ানো। পরিবেশ ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দ্রুত নগরায়ণ ও সম্পদের অপরিমিত ব্যবহারের ফলে প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারাচ্ছে।

তাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ কার্যক্রমকে উন্নয়নের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে ব্লু-ইকোনমি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৩
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।