ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আমাদের সঙ্গে বসে বাজেট করলে রাজস্ব বাড়বে: বারভিডা সভাপতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৩
আমাদের সঙ্গে বসে বাজেট করলে রাজস্ব বাড়বে: বারভিডা সভাপতি বারভিডার সংবাদ সম্মেলন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন বলেছেন, সরকার আমাদের সঙ্গে বসে বাজেট প্রণয়ন করুক। তা করলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট বিষয়ে বারভিডার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাবিব উল্লাহ ডন আরও বলেন, বাংলাদেশের বিকাশমান পরিবহন খাতে টেকসই রিকন্ডিশন্ড মোটরগাড়ির যোগানকে আরও অর্থবহ করার লক্ষ্যে আমাদের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে এনবিআরের সঙ্গে প্রাকবাজেট আলোচনায় আমাদের পক্ষ থেকে একটি রাজস্ব ও গ্রাহকবান্ধব প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম।  

প্রস্তাবের সারমর্ম ছিল, বাংলাদেশের আজ যে আর্থিক সক্ষমতা, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির যে ঊর্ধ্ব সূচক, ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক পরিবহনকে আরও সহজলভ্য করার মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ভিত্তি মজবুত করার অভিপ্রায় এবং বর্তমান সরকার যে বিপুল সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ করেছে, অর্থনীতিতে তার প্রত্যক্ষ ফলাফল যোগ করার লক্ষ্যে রিকন্ডিশন্ড মোটরগাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক করের হার সমন্বয় করাসহ পরিবেশ বান্ধব আধুনিক প্রযুক্তির হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর প্রযোজ্য শুল্ক-করসমূহ হ্রাস করে রাজস্ব বৃদ্ধি ও রিকন্ডিশন্ড মোটরগাড়িকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অধিকতর অর্ন্তভুক্ত করার পথ সুগম করা।

তিনি বলেন, প্রাকবাজেট আলোচনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে আমরা মোট চারটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম—

হাইব্রিড গাড়ির সিসি স্ল্যাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাস করা। কিন্তু, প্রস্তাবিত বাজেটে হাইব্রিড কার ও জিপ (১৮০১ সিসি থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত) আমদানিতে শুল্ক হ্রাস না করায় আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করে তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

ফসিল ফুয়েল চালিত গাড়ির সিসি স্ল্যাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাস।

বৈদ্যুতিক গাড়ির সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার। বর্তমানে এটি ২০ শতাংশ রয়েছে।

গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত ১০-১৫ আসন বিশিষ্ট মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার। বর্তমানে এই শুল্কের হারও ২০ শতাংশ।

এ ছাড়া পরিবেশ সারচার্জ বা কার্বন কর দেওয়ার বিষয়টি যৌক্তিক নয়। বিষয়টিতে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা ও পরিষ্কার ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গত এক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে মার্কিন ডলারের সংকটের ফলে বাংলাদেশে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে গাড়ির দাম যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের প্রস্তাব অনুযায়ী হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক হ্রাস এবং মাইক্রোবাস ও বৈদ্যুতিক গাড়ির সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে গাড়ির মূল্য মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। এর ফলে বাজার সম্প্রসারণের সাথে সাথে সরকারের রাজস্ব আয়ও বহুগুণে বাড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার মহাপরিচালক শহীদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আসলাম সেরনিয়াবাত, সহ-সভাপতি রিয়াজুর রহমানসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৩
এমকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।