সিলেট: বছরখানেক আগে নৌ দুর্ঘটনায় মারা যন সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের হেলাল মিয়া। মৃত্যুকালে তিনি রেখে যান স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান।
মাসখানেক আগে ভাইয়ের স্ত্রীকে (ভাবিকে) পরিবারিকভাবে বিয়ে করেন দুলাল মিয়া (২৭)। কিন্তু বিয়ের এক মাসের মাথায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন তিনিও।
বুধবার (০৭ জুন) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজারে সিলেট টাকা মহাসড়কে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হন। নিহতদের কাতারে রয়েছেন দুলাল মিয়াও।
এদিন সকালে দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত অন্যান্যদের সঙ্গে দুলাল মিয়ার মরদেহ হাসপাতালের মর্গের সামনে রাখা ছিল। মরদেহ দেখে বিলাপ করছিলেন স্বজনরা।
বুধবার (৭ জুন) সকাল ১০টায় নিহত দুলালের ফুফাতো ভাই মো. শাহিন আহমদ মর্গের সামনে বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নৌ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো বড় ভাইয়ের পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন দুলাল। সংসারের হাল ধরেছিলেন। সুন্দর চলছিল তাদের সংসার। প্রায় এক মাস আগে বিয়ে করার পর ১৫দিন আগে তিনি সিলেটে কাজের জন্য এসেছিলেন। পরে আম্বরখানা সাপ্লাই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন দুলাল মিয়া। সিলেটে আসার ১৫ দিনের মধ্যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিনিও ভাইয়ের মতো পরপারে চলে গেলেন।
মো. শাহিন আরও বলেন, দুলাল মিয়ার ভাই হেলাল মিয়ার স্ত্রী দুই সন্তান রেখে মারা গিয়েছিলেন। তাদের একজনের বয়স তিন বছর একজনের প্রায় দেড় বছর। বড় ভাই মারা যাওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়া শারমিন বেগমকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই বিয়ে করেছিলেন দুলাল। এখন দুলাল মিয়াও মারা গেছেন। দুলাল মিয়া পরিবারে বর্তমানে আব্বাস মিয়া (২২) নামে আরও এক ভাই রয়েছে। তাকে খবর দিয়েছেন শাহীন মিয়া। ভাইয়ের মরদেহ নিতে বেলা সোয়া ১টার দিকে ওসমানী মেডিকেলে এসে পৌঁছেছেন আব্বাস।
বুধবার ভোরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে এক নারীসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সবাই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।
তারা সিলেট নগরের আম্বরখানা থেকে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে যাচ্ছিলেন। বুধবার ভোরে নাজির বাজার এলাকায় পৌছালে ঢাকার দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুটিন ট্রাক দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২৩
এনইউ/জেএইচ