সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ার কোনাপাড়া টেংগুরি দারুল উলুম কওমি মাদরাসা ও এতিমখানার প্রিন্সিপাল হাফেজ মজিবুর রহমানের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (১০ জুন) দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে বিকেএসপির সামনে এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই মাদরাসা ১৯৮৪ সালে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০২ সালে মজিবুর রহমান হাফেজ হিসেবে এখানে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকে যতজন প্রিন্সিপাল নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল মজিবুর রহমান ষড়যন্ত্র করে সবাইকে বের করে দিয়ে নিজেই প্রিন্সিপালের পদ দখল করেছেন। প্রিন্সিপাল হতে যে যোগ্যতার প্রয়োজন তাও তার নেই। অবিলম্বে তার অপসারণ দাবি কারছি আমরা।
মানববন্ধনে কোনাপাড়া টেংগুরি দারুল উলুম কওমি মাদরাসা ও এতিমখানার সিনিয়র সহ-সভাপতি সুমন মন্ডল বলেন, মাদরাসার বর্তমান প্রিন্সিপাল হাফেজ মজিবুর রহমান নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো প্রিন্সিপাল না। তিনি অনিয়ম করে, গায়ের জোড়ে এবং স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে যাকে ইচ্ছা মাদরাসায় রাখেন, যাকে ইচ্ছা তাড়িয়ে দেন। বেশ কয়েকদিন আগেও অন্য একটি মসজিদে নামাজ পড়ানোর কারণে ওই মাদরাসার এক শিক্ষককে বের করে দেন তিনি।
সুমন মন্ডল আরও অভিযোগ করেন, এই প্রিন্সিপাল মাদরাসার আয় ব্যয়ের কোনো হিসাব দেন না। কমিটির কয়েকজনকে হাত করে তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। একটি লুঙ্গি পড়ে আসা এই প্রিন্সিপাল এখন মাদরাসায় আসা জাকাত-ফেতরার টাকা আত্মসাৎ করে কয়েকটা বাড়ির মালিক হয়ে কোটিপতি বনে গেছেন। অবিলম্বে এই প্রিন্সিপাল দাবিদার মুজিবুরের অপসারণ চাই।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন-কোনাপাড়া টেংগুরি এলাকার মো. সফি উদ্দিন, হাজী মো. জালাল উদ্দিন, মো. কামাল উদ্দিন, শিমুলিয়া ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম, মো. রাজিব হোসেন, হুমায়ুন কবির, দীন ইসলাম প্রমুখসহ এলাকাবাসী।
এদিকে সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন টেংগুরি দারুল উলুম কওমি মাদরাসা ও এতিমখানার প্রিন্সিপাল হাফেজ মজিবুর রহমান।
এ বিষয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি মানববন্ধনের বিষয়টি শুনেছি। এসব কিছু মিথ্যা। আপনি আমাদের কমিটির সঙ্গ কথা বলেন। তারা সব বলতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এসএফ/এসএএইচ