ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধূমপানমুক্ত প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
ধূমপানমুক্ত প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা

রাজশাহী: ধূমপানমুক্ত প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান।

বুধবার (১৪ জুন) সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলায় গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

 

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ধূমপান মানে বিষপান। তামাকজাত দ্রব্যের ইতিবাচক কোনো দিক নেই। বরং ক্ষতির অনেক দিক রয়েছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধূমপানমুক্ত প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে।  

এসময় শিক্ষক ও চিকিৎসকদের ধূমপান ও তামাক ত্যাগ করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি ধূমপান ও তামাকের ক্ষতির দিক সম্পর্কে মসজিদের খতিবদের খুতবায় সচেতন করতে হবে। যদি কোনো শিক্ষক ও চিকিৎসক ধূমপান বা তামাক সেবন করেন, তাহলে তাদের তা অবশ্যই বর্জন করতে হবে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, ধূমপায়ী ব্যক্তি নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হন, আবার তিনি আশপাশে থাকা মানুষদেরও ক্ষতি করেন। কালের বিবর্তনে তামাকের ব্যবহারেও ভিন্নতা এসেছে। তামাক, জর্দা, হুক্কা, বিড়ি, সিগারেট পেরিয়ে তরল নিকোটিন বহনকারী ক্ষতিকর ই-সিগারেটের ব্যবহারও এখন দৃশ্যমান। সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে বিড়ি, সিগারেট, জর্দার মতো তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দেশের মানুষ তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধি বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব সাদিকুল ইসলাম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস রাজশাহীর উপ-পরিচালক (ডিডি) ডা. আনোয়ারুল কবীর।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, আইন অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, শিশুপার্ক ও খেলাধুলার স্থান থেকে একশ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষেধ। তামাকজাত দ্রব্য অথবা সিগারেট ফেরি করে বা ভ্রাম্যমাণ দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করা যাবে না। সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রচার ও নাটক-সিনেমার দৃশ্যে ধূমপান ও মাদক গ্রহণের দৃশ্য প্রদর্শন করা নিষিদ্ধ। পাবলিক প্লেস, গণপরিবহন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে ‘ধূমপানমুক্ত এলাকা’ সাইন বোর্ড স্থাপনা না করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আর্থিক জরিমানার মুখোমুখি হতে পারে।

এসময় রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, রাজশাহী জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মনজুর কাদের, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো সাইদুর রহমান, সোনালি সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী এক মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
এসএস/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।