নীলফামারী: নীলফামারীর ডোমারে জেনারেল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১৩ বছরের এক মাদরাসাছাত্রীর গর্ভবর্তী হওয়ার ভুল রিপোর্ট দেওয়ার ঘটনায় ওই হাসপাতালটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান মালিকের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এ রায় দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি বলেন, অভিযোগ ও নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার অংশ হিসেবে ক্লিনিকটি সাময়িক বন্ধ ও ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু শর্ত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। সেই শর্তগুলো পুরণের পর অনুমতি সাপেক্ষে পূনরায় তারা ক্লিনিকটি চালু করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, সোমবার (১২ জুন) বিকেলে ক্লিনিকটিতে পেটের ব্যথার চিকিৎসার জন্য ১৩ বছরের এক মাদরাসাছাত্রী গেলে চিকিৎসক তাকে কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করতে বলেন। ওই ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষা করে তাকে অন্তঃসত্ত্বা বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়। সন্দেহ হলে স্বজনরা অন্য দুইটি ক্লিনিকে গিয়ে একই পরীক্ষা করান। সেখানে তারা জানতে পারেন, ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা না। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ডোমার জেনারেল ক্লিনিক অবরোধ করেন।
এ নিয়ে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
এফআর