জামালপুর ও পঞ্চগড় থেকে: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিমকে হত্যার মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ দুইজন সীমান্ত পাড়ি দিতে অবস্থান নেন পঞ্চগড়ে দেবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকায়।
শুক্রবার (১৬ জুন) রাতের ১০টার দিকে চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়ায় কথিত চাচা বৃদ্ধ মুনতাজুলের বাড়িতে অবস্থান নেন তারা।
পরে শনিবার (১৭ জুন) সকাল ৭টার দিকে সেই বাড়ি থেকে তাদের আটক করে র্যাব। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে ঢাকায় র্যাব সদর দপ্তরে আনা হয়েছে।
সরেজমিনে সেই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িটি সীমান্তের কাছে। সীমান্ত থেকে বাড়িটির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। তাকে সেই মুনতাজুলের বাড়ি থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান বাবুর কথিত চাচা মুনতাজুল বাংলানিউজকে বলেন, ‘তারা শনিবার রাত ১০টার থেকে আমার সঙ্গে ছিলেন। আমি গতরাতে নামাজ পড়ে এসে দেখি তারা আমার বাড়ি। চেয়ারম্যান বাবুর সঙ্গে আমার পূর্বের পরিচয় ছিল। তিনি আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। চেয়ারম্যানের সঙ্গে আরও দুইজন ছিলেন। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা জামালপুর থেকে ১৯৬২ সালে এখানে আসি। আমরা জানি না তারা জামালপুরে কি করেছে। চেয়ারম্যান এসেছেন তিনি যে এ ঘটনা ঘটাবেন তা তো জানি না। ’
এর আগে বুধবার (১৪ জুন) রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
নাদিম হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুলকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
এসএফ/আরআইএস