গাইবান্ধা: অপকর্ম লুকাতে নবজাতককে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাঁশঝাড়ে ফেলার অভিযোগে কল্পনা রানী (৪০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে গোবিন্দগঞ্জের চৌকি আদলতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ওই নারী।
শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার কল্পনা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের দরবস্ত গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ বর্মণের স্ত্রী।
গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রলয় কুমার বর্মা জানান, স্থানীয়দের খবরে গত বুধবার (২১ জুন) বিকেলে দরবস্ত গ্রামের মনোরঞ্জনের বাঁশ বাগান থেকে একদিন বয়সের ছেলে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটক কল্পনা রানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি উপস্থিত লোকজনের সামনে স্বীকার করেন যে তার গর্ভের সন্তানকে নিজেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। এ তথ্য গোপন করতেই শিশুটি বাঁশবাগানে ফেলে দেন তিনি। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এসআই প্রলয় কুমার বর্মা জানান, প্রায় ২১ বছর আগে কল্পনা রানীর সঙ্গে দেবেন্দ্রনাথের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ছেলে এবং মেয়ে সন্তান আছে। স্ত্রী কল্পনার চরিত্রগত আচার-আচরণে অবক্ষয়ের কারণে দেবেন্দ্র নাথ প্রায় ৮ বছর ধরে নিজ বাড়ি ছেড়ে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া এলাকায় আলাদাভাবে থাকেন।
ওসি-তদন্ত বুলবুল ইসলাম জানান, কোনো অবৈধ সম্পর্কের কারণে কল্পনার গর্ভে সন্তান আসে। যা লুকানোর জন্য তিনি নবজাককে হত্যা করে বাঁশঝাড়ে ফেলে দেন। কল্পনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। ১৬৪ ধারার জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এফআর