ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরছে মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরছে মানুষ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সকাল থেকেই বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ রয়েছে রাজধানীর সড়কগুলোয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঈদুল আজহা পালনে নাড়ির টানে ফিরছেন তারা।

এই ফেরাতেও আছে নানা অভিযোগ; পরিবহনের সঠিক ভাড়া না নেওয়া, বাড়তি অর্থ আদায়সহ নানা ভোগান্তি। তাও মানুষ ফিরছেন বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোনের মুখ দেখতে, তাদের সঙ্গে ত্যাগের সুখ ভাগাভাগি করতে।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এ সময় বাংলানিউজের এ প্রতিবেদক কথা বলেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীদের সঙ্গে।

মিরপুরের মাজার রোড থেকে মহাখালী এসেছেন মো. অনুজ। প্রথমবারের মতো যাবেন ময়মনসিংহে; শ্বশুরবাড়ি। লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন টিকিটের জন্য। অনুজ জানান, পরিবারকে আগেই শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে আজ তিনি যাচ্ছেন। এ সময় রোজার ঈদের সময়কার অভিজ্ঞতার কথা জানান। বলেন, রোজার ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় সকাল ছয়টায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। টিকিট পেয়েছিলাম সাড়ে আটটায়। বাসে উঠেছিলাম সাড়ে নটায়। আর বাড়ি পৌঁছেছিলাম দুপুর আড়াইটায়।

গতবার টিকিটের দাম ছিল ৩৬০ টাকা। এবারও একই দাম আছে। এনা পরিবহনের সার্ভিস ভালো এবং তাদের সুনাম আছে। এ কারণেই এনা পরিবহনে যাচ্ছি। আজকে দুপুর থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের আরও বাড়বে। দুপুর একটার পরে সকল অফিস ছুটি হওয়ায় আরও ভিড় বাড়বে।

ঈদের ছুটিতে জামালপুর যাচ্ছেন মো. মমিন। তিনি যাবেন রাজিব পরিবহনে। মমিনের অভিযোগ, রাজিব পরিবহন ভাড়া বেশি নিচ্ছে। সাড়ে তিনশ টাকার টিকিটের দাম নিচ্ছে ৭০০ টাকা। যাত্রীদের জিম্মি করে এই পরিবহন মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। তাদেরও উপায় নেই। ঈদের মা-বাবার সঙ্গে দেখা তো করতেই হবে।

বিষয়টি নিয়ে রাজিব পরিবহনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তবে মহাখালী বাস টার্মিনালে এনা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার এস এম খালেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের টিকিটের মূল্য ধার্য করা। বাড়তি রাখার সুযোগ নাই। সকাল থেকে যাত্রীর চাপ ভালোই। বৃষ্টি আর যানজটের কারণে সঠিক সময় যাত্রীদের বাস দিতে পারছি না। টার্মিনালে বাস আসছে দেরিতে, এ ছাড়া কোনো ভোগান্তি নাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।