নীলফামারী: অটোচালকের কানে ছিল ফোন আর এক হাতে ইজিবাইকের স্টিয়ারিং। বিপরীত দিক থেকে আসা ইজিবাইকের আলোর কারণে দেখতে না পেয়ে সামনে থাকা রিকশা ভ্যানকে ধাক্কা দেন।
এ সময় পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস শারমিনকে চাপা দেয়। এতে পেট ফেটে নবজাতক ও মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
গত শনিবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে বারোটায় এই ঘটনাটি ঘটে নীলফামারী-সৈয়দপুর মহাসড়কের শিমুলতলী এলাকায়।
বুধবার (০৫ জুলাই) শারমিনের সঙ্গে ওই দিন অটোরিকশায় থাকা খালাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডোমার পৌরসভার চিকনমাটি কাচারি পাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দীনের মেয়ে শারমিন আখতার। আট বছর আগে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের মতির মোড় এলাকার হায়দার আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম লিটনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। লিটন সৈয়দপুর শহরে দরজির কাজ করেন। তাদের ইলমা মনি নামে ৪ বছরের এক কন্যা সন্তান আছে।
দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে আসার পর শারমিন ডোমারে মায়ের কাছে ছিলেন। ওই রাতে প্রসব বেদনা উঠলে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলে সিএনজি অটোরিকশায় করে তারা রওনা হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিকশাটি সড়কের ওই স্থানে এলে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস সেটিকে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে নিয়ে যায় প্রায় এক কিলোমিটার পথ। এ সময় অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হন শারমিন ও ভূমিষ্ঠ হয় তার গর্ভের সন্তান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৩
এফআর