ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফুটবলে কিক মারার জেরে স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
ফুটবলে কিক মারার জেরে স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা ওসমান গণি

নোয়াখালী: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ফুটবলে কিক মারায় ওসমান গণি (১৫) নামে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত রোববার (৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার বসতঘর সংলগ্ন আঙিনায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।    

নিহত ওসমান গণি উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের মোকামী বাড়ির মিজানুর রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় সপ্তগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

নিহতের জেঠাতো ভাই শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার (৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে আমাদের প্রতিবেশী মানিকপুর গ্রামের পুরান বাড়ির মন্টুর ছেলে মুসলিম (১২) বাড়ির সামনের রাস্তা সংলগ্ন আঙিনায় ফুটবল খেলছিল। ওসমান তার পাশেই টং ঘরে বসে মোবাইল টিপছিল। হঠাৎ বল এসে ওসমানের পায়ের কাছে পড়লে ওসমান ফুটবলে জোরে কিক মারে। তখন ফুটবলটি পাশের একটি একতলা বিল্ডিংয়ের ছাদে গিয়ে পড়ে।  

পরে মুসলিম কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে জানায় ওসমান কাকা তার ফুটবল কিক মেরে ফেলে দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর মুসলিমের বাবা মো. মন্টু (৩২) একটি কাঠ নিয়ে এসে ওসমানকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।    

শাহ আলম আরও বলেন, হামলাকারী মিন্টুর বেশ কয়েকজন আপন ভাই রয়েছে। এরা সবাই উচ্ছৃঙ্খল, মানুষের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি তাদের একটা নেশা। আমরা সবাই ঢাকায় থাকি। ওসমানের পরিবারও ঢাকায় থাকতেন। কয়দিন আগে তার বাবা গ্রামে এসে একটি বাড়ি করেন। হামলাকারী মন্টু ভবন নির্মাণের সময় কাজ চেয়েছিলেন। ওই কাজ না পেয়ে তিনি ওসমানের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। না হলে শুধু মাত্র ফুটবলে একটি কিক মারার কারণে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে?

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ওই কিশোর আজকে মারা গেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় নিহতের মা উম্মে হানি রুমা ঘটনার দিন রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ মামলায় নেয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।