ফরিদপুর: ফরিদপুর শহরের বাখুন্দা বাজারের নৈশ প্রহরীদের বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনায় লুট করা মালামালসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ৯ জুলাই ডাকাত দলের এক সদস্যকে যশোরের বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শরীয়তপুরের পালং থানার চরগাজীপুর এলাকার কাজল দেবনাথ (৪৭), একই জেলার গোসাইরহাট থানার রানীসার এলাকার শহিদ ওরফে আবুল (৩৮), ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন ওরফে ফজো বেপারী (৭০), মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার দক্ষিণ হলদিয়া এলাকার এমারত হোসেন (৪০), কুড়িগ্রামের খাউরার পাড় এলাকার সাইদুল সরকার (২৭) ও ঢাকার দোহার থানার মেঘুলা এলাকার উজ্জ্বল দাস (৩৮)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, গত রোববার যশোরের বেনাপোল থেকে প্রথমে কাজল দেবনাথকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হলে সেখানে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয় কাজল। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাতে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে উজ্জ্বল দাস (৩৮) এবং মুন্সিগঞ্জের শ্রীপুর থেকে শহিদ ওরফে আবুল, আনোয়ার হোসেন ও এমারত শেখ, সাইদুল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে এমারত শেখ ও সাইদুলের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও উজ্জ্বল দাসের কাছ থেকে লুণ্ঠিত অলংকারের মধ্যে ৮ আনা ওজনের গালানো স্বর্ণের বার এবং ২০ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তাররা ফরিদপুর শহরের বাখুন্ডা বাজারে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।
ফরিদপুরের কোতয়ালি থানার এসআই জব্বার ও কনস্টেবল হিমেল এ অভিযানে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম,এ জলিলসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এর আগে গত ৩ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর শ্যামপুর, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামলী, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ ও মাদারীপুর এলাকায় র্যাব ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গ, গত ২৭ মে রাতে গভীর রাতে ফরিদপুর শহরের বাখুন্ডা বাজারের নৈশ্য প্রহরীদের বেঁধে মারধর করে জুয়েলারিসহ বেশকয়েকটি দোকানের বিপুল পরিমাণ মালামাল লুট করে। চারটি ডাকাত দলের ২০ থেকে ২৫ জন এতে অংশ নেয়।
ওই ঘটনায় ডাকাতি হওয়া দোকানের মালিকরা বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
এসএএইচ