ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক পিটিয়ে ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক পিটিয়ে ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ৪

বরগুনা: বরগুনা সদর উপজেলায় এক পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্যে বেধড়ক পিটিয়ে ভিডিও ধারণ করার অপরাধে এক নারীসহ ৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন - মো. গোলাম মাওলা মল্লিক (৩৮), মো. সোহাগ হাওলাদার (২৬), মোসা. শর্মী আক্তার লিজা (২০) মো. রাজিব হাওলাদার (২৬)।

এর আগে একইদিন ওই চারজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মো. আবদুল হাই নামে এক পুলিশ সদস্য।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন,  বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) চারজনকে আসামি করে একটি মামলা হলে ওইদিনই  অভিযুক্ত চারজনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি জানান, গত ২৬ জুলাই বিকেলে বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরিচন্না ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খাজুরতলা নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ পরিচয় জেনেও আবু মুছা নামে এক পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় মারধরের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণও করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্যকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

মারধরের শিকার আবু মুছা বরগুনা সদর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত।

মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েকজন যুবক মিলে পুলিশ সদস্য আবু মুছাকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। এক নারীকেও মারতে দেখা যায় ভিডিওতে। তবে পুলিশ পরিচয় জেনেও থামেননি তারা।

জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের বড় গৌরীচন্না নামক এলাকায় একটি মামলার সাক্ষীদের সমন জারির নোটিশ দিতে রওয়ানা হন কনস্টেবল আবু মুছা। এ সময় খাজুরতলা নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে তার পূর্ব পরিচিত মোসা. শর্মী আক্তার লিজা কথা বলার উদ্দেশ্যে তাকে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত অন্য অভিযুক্তরা তাকে আটক করে বেধড়ক মারধর করেন।

খবর পেয়ে থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে আবু মুছাকে উদ্ধার করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল হালিম বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাওয়ার পথে বরগুনার পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় সুনাম ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতেই পরিকল্পিতভাবে এ হামলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তরা আইনবিরোধী কাজ করেছে। তাদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।