ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশ সেজে ছিনতাই, আটক ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৩
পুলিশ সেজে ছিনতাই, আটক ৩

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় আরও ৭-৮জন পালিয়ে গেছেন।

এছাড়া আহত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার চরাঞ্চল গাবসারা ইউনিয়নের পুংলিপাড়া ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার পুংলিপাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে।

আটকরা হলেন- ছিনতাইকারীর মূলহোতা উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খুপিপাড়া গ্রামের কায়সার মিয়া (২২), ভূঞাপুর পৌরসভার ছাব্বিশা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে রাকিব মিয়া (২৫) ও একই পৌরসভার ফসলান্দি এলাকার সিফাত মিয়া (১৯)।

স্থানীয়রা জানান, কায়সার গোবিন্দাসী বাজারে স্বর্ণের দোকানের পাশাপাশি মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার ১০-১১ জন মাদকসেবীদের নিয়ে পুংলি এলাকায় মাদক সেবন শেষে রাতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে একজন কাপড় ব্যবসায়ীকে পথরোধ করেন। পরে তারা ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করার পর মুক্তিপণের জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। নগদ টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা লেনদেন হওয়ার পর ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়ে নৌকায় করে গোবিন্দাসী ঘাটে আসেন ছিনতাইকারীরা। এরপর খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের ধরতে ধাওয়া করলে ৭-৮ জন পালিয়ে গেলেও ঘটনার মূলহোতাসহ তিনজনকে আটক করা হয় ও পরে থানা পুলিশের হাতে তাদের সোপর্দ করা হয়।

জানা গেছে, কাপড় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেনের নামে আগে একটি মাদক মামলা থাকার বিষয়টি ছিনতাইকারীর মূলহোতা আরেক মাদক ব্যবসায়ী কায়সার জানতেন। এই সুযোগে কায়সার মাদকসেবীদের নিয়ে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে আটক করে মুক্তিপণ দাবি করেন।

কাপড় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে কাপড় ব্যবসা ভালো না হওয়ায় বাড়িতে চলে আসি। পুংলি পাড়া ঘাট থেকে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় তারা আমাকে ধরে ফেলেন এবং পুলিশ পরিচয় দেন। এ সময় আমাকে তারা এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। পরে মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। তার মধ্যে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার পর তারা একটি পাট খেতে আমাকে ফেলে রেখে চলে যান। এরপর বিষয়টি পরিবারকে জানালে তারা গোবিন্দাসী ঘাট এলাকার বাসিন্দাদের সেটি জানান।

ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুম্মন খান জানান, খবর পেয়ে এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) দুপুরে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ পরিচয়ে তারা ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করার পর মুক্তিপণ দাবি করেন। এই ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।