ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের বাসায় তল্লাশিতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। রাজধানীর পল্টনে কার্যালয়ে জোর করে প্রবেশ ও ভাঙচুরের মামলার আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূর তার বাসায় লুকিয়ে রেখেছিলেন।
বুধবার (২ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে সাংবদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাতে হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্টে নুরুল হক নূরের বাসায় অভিযানের বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, নূর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভোটে নির্বাচিত ভিপি। ওনারতো আইন জানার কথা। উনি কেন তার বাসার মধ্যে মামলার আসামিকে লুকিয়ে রাখবেন আমরা সেটা জেনেই গিয়েছি। ওনার উচিত ছিল, বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করা।
তিনি বলেন, আমরা আইনের কোনো ব্যত্যয় করিনি। পুলিশ তো পরিচয় দিয়েছে। মামলার আসামি তো রয়েছেই। তিনি ফেসবুকে, ইউটিউবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছেন। এই ভিডিওটা রয়েছে। তার নামে মামলা রয়েছে।
নূর পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে গালিগালাজ করেছেন, সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
ডিবি প্রধান বলেন, আমরা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছি। পুলিশ তাকে বারবার বলেছে, আসামিকে দিয়ে দিতে। আইনে বলা আছে, মামলার আসামি যার বাসাতেই থাকুক, আমরা আনতে পারি। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করেও আনতে পারি। আইনের বাইরে কিছু নাই। মামলার আসামিকে আনা হয়েছে।
ডিবি জানায়, বিন ইয়ামিন মোল্লার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় জোর করে প্রবেশ ও ভাঙচুরের অভিযোগে গত ২১ জুলাই মামলা হয়েছে। এই মামলাতেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের উত্তেজিত করার চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২৩
পিএম/এসআইএস