ভোলা: ভোলার বাজারে ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি থাকলেও ডিমের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে বাজারে পোল্ট্রি ডিমের দাম ডজনে ১৫০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ২১০ দাম দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা ডজন।
অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেটের দখলে থাকায় ডিমের দাম কমছে না। এ অবস্থায় অভিযানের মাধ্যমে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়ার দাবি ভোক্তাদের।
বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, গত কয়েকদিন ধরেই মাছ মাংস, তরিতরকারি ও গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম অনেকটা চড়া। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে নিম্ন ও মধ্যবৃত্তরা চরম সংকটে পড়েন। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসেব মেলাতে পারছিলেন না, আর তাই চাহিদা অনুযায়ী বাজার করতে পারছিলেন না তারা। এমনি অবস্থায় যখন অনেকে ডিম খাওয়া শুরু করছিলেন। ঠিক তখনি যেন এক সপ্তাহ ধরে ভোলার বাজারে ডিমের বাজারে অস্থিরতা চলছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিমের দাম নির্ধারণ করলেও দাম কমেছে ডজনে মাত্র ১০ টাকা কিন্তু অপরিবর্তিত রয়েছে হাঁসের ডিমের দাম।
এর ফলে গরিবের প্রোটিন খ্যাত ডিমও কিনতে পারছেন না নিম্নবৃত্তরা। এতে ক্ষোভ আর অসন্তোষ বাড়ছে তাদের।
ভোক্তাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের কারণে কিছুতেই কমছে না ডিমের দাম। এ জন্য প্রয়োজন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা।
ফিরোজ, মনির ও সিরাজুল নামের কয়েকজন ক্রেতা বলেন, ডিমের দাম কমছে না। সিন্ডিকেট তৈরি করে ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে।
ক্রেতা নান্টু কর্মকার বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হলে বাজারে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে বাধ্য হয়ে বেশি মূল্যে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। ভোলার বাজারে সিন্ডিকেট নেই দাবি করে পাইকারি আড়ৎকে দুষছেন তারা।
বিক্রেতা মাইনুদ্দিন কলেন, আমরা হালিতে মাত্র ২ টাকা লাভ করছি। ডিমের আড়তে দাম চড়া, সেখান থেকেই আমরা আনি, কিছু করার নেই।
এদিকে, ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চলছে বলে জানান, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোস্তফা সোহেল বলেন, ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আমাদের অভিযান চলছে, কেউ যদি সিন্ডিকেট তৈরি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, জেলার ৭০০টি পোল্ট্রি, লেয়ার ও দেশি মুরগী খামার থেকে চাহিদার বিপরীতে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ৬ লাখ ৮৫ হাজার পিস হাস ও পোল্ট্রি মুরগি ডিম। যা বাৎসরিক উৎপাদন প্রায় ২৫ কোটি। এর মধ্যে জেলার চাহিদা মিটিয়ে শুধু হাঁসের ডিম রপ্তানি হয়, কিন্তু আমদানি হচ্ছে পোল্ট্রি মুরগি ডিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
এসএম