সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যায় না, এমন কথা কেন বলেছেন তা জানতে বাণিজ্যমন্ত্রীকে ‘ধরবেন’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
সাংবাদিক সাইফুল আলম প্রশ্ন করেন, দেশে নিত্যপণ্য নিয়ে একটা মৌসুমি ব্যবসা হয়। মজুদ আছে সরবরাহ আছে তবুও জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। যেমন- পেঁয়াজ, ডাব, কাঁচামরিচ। এমন অনেক পণ্য সিন্ডিকেট করে ব্যবসা করে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। মন্ত্রীরাও বলেন সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যায় না। এই মৌসুমি ব্যবসায়ীদের নিরস্ত করার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে চান, সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না, এমন কথা কে বলেছেন। জবাবে জানানো হয়, বাণিজ্যমন্ত্রী ওই কথা বলেছিলেন।
শেখ হাসিনা তখন বলেন, ঠিক আছে আমি বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা শ্রেণি আছে, তারা যখন আর্টিফিসিয়ালি দাম বাড়ায়, তখন আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেই। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নেই। তারা বাধ্য দাম কমাতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট থাকলে ভাঙা যাবে না, এটা কোনো কথা হতে পারে না। কে কত বড় শক্তিশালী সিন্ডিকেট, আমি জানি না। কিন্তু আমি দেখব যে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা নিয়ম আছে যুগ যুগ ধরে। আমরা ছোটবেলায় দেখেছি শীতকালে যখন বাজারে শিম ওঠে কে কত বেশি দামে কিনতে পারে এটার একটা প্রতিযোগিতা চলত। দুইদিন পর দাম কমে যেত। আবার বর্ষাকালে কাঁচামরিচের দাম বাড়ে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কাঁচামরিচ শুকনা করে রেখে দেওয়া যায়। পেঁয়াজ শুকিয়ে রেখে দেওয়া যায়। যেটার উৎপাদন বেশি হবে সেটা শুকিয়ে রেখে দিলে ব্যবহার করা যাবে। জীবনে কেউ কখনো ভেবেছে যে বর্ষাকালে শিম, লাউ, কপি গাজর, টমেটো খাবে। ভবিষ্যতে এগুলো রাখা, প্রসেস করা, চিলিং সিস্টেমে সংরক্ষণ করার বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
নিউজ ডেস্ক