ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মলয় বোসকে হত্যা মামলায় আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই পলাতক আসামিকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফরিদপুর-১০ র্যাব ক্যাম্প, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার।
এর আগে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে ওই দুই আসামিকে আটক করে র্যাব।
আটকরা হলেন- সালথার গোয়ালপাড়া গ্রামের সামচু শেখের ছেলে মনিরুজ্জামান শেখ ওরফে মনির (২৮) ও একই উপজেলার খাগৈর গ্রামের কাশেম মোল্যার ছেলে ছাত্তার মোল্যা (২৫)।
সংবাদ সম্মেলনে কে এম শাইখ আকতার বলেন, মলয় বোস হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার মনিরুজ্জামান ও একই মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছাত্তার। দীর্ঘ ১১ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আটক করা হয়েছে।
র্যাবের এ কোম্পানি অধিনায়ক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুই আসামি মলয় বোস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
মলয় বোস হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপন করে ছিলেন আসামি মনির ও ছাত্তার। তাদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্প কাজ শুরু করে ও দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর ওই দুই আসামিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সালথার আটঘর ইউপি চেয়ারম্যান মলয় বোসকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরে এ ঘটনায় মলয় বোসের স্ত্রী ববিতা বোস বাদী হয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর-০৯, ২০১২ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারি। অতঃপর এ মামলায় ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নয়জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৩
এসআরএস