সাভার (ঢাকা): নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার রতন মিয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হামিদ দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিভিন্ন জেলায় পলাতক থাকার পর সাভার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪। এই ২০ বছরে পলাতক থেকে নাম-পরিচয় বদলে নরসিংদীতে বিয়েও করেছেন তিনি।
শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সাভার মডেল থানার গেন্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আব্দুল হামিদ (৪৫) নওগাঁ জেলার বাসিন্দা।
র্যাব-৪ জানায়, আব্দুল হামিদ গত ২০০৪ সালের ১৬ মে মাসে নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার সাহেবগঞ্জ এলাকার নিজ বাড়িতে অবস্থানকালে তার সহকর্মী রতন মিয়াকে কলহের জেরে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে রতন মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। সংবাদ পেয়ে আত্রাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামি আব্দুল হামিদ ও তার অন্যান্য সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে সুকৌশলে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ছোট ভাই রিপন মিয়া বাদী হয়ে নওগাঁ জেলার আত্রাই থানায় আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা করার পর থেকে হত্যাকারী আব্দুল হামিদ আত্মগোপন করে। দীর্ঘদিন ধরে আসামির অনুপস্থিতিতে নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত হত্যা মামলার বিচার কার্য চালিয়ে যায়। দীর্ঘ বিচার কার্য শেষে আদালত গত ২০১০ সালের ১৯ মে আসামি আব্দুল হামিদকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
র্যাব-৪ আরও জানায়, এসব তথ্য জানার পর র্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার সাভারের গেন্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের পর হতে সে পালিয়ে প্রথমে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, ঢাকা, নরসিংদী পরবর্তীতে চট্রগ্রাম ও পার্বত্য চট্রগ্রাম জেলায় ও সর্বশেষ ঢাকা জেলার সাভার এলাকায় আত্মগোপন করে নিজের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে বসবাস করে আসছিল। গ্রেপ্তার আসামি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানা এলাকায় পরিচয় গোপন করে বিয়ে করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
এসএফ/জেএইচ