খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে তিনটি পৃথক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ও রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ আত্মহত্যার ঘটনাগুলো ঘটে।
জানা যায়, জেলার গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে কিশোরীও আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও সে বেঁচে যায়। তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় পাড়া-প্রতিবেশী তা মেনে না নেওয়ায় তারা জেদ থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তবেন জয় ত্রিপুরা (১৮) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে। অন্যদিকে স্থানীয়রা কিশোরীকে (১৮) উদ্ধার প্রথমে মহালছড়ি হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
কিশোরীর বাবা খঞ্জয় ত্রিপুরা বলেন, ছেলের পরিবার এ বিয়ে মেনে নিতে রাজি ছিল না। বিকেলে সামাজিক মীমাংসা করার কথা ছিল। ছেলে-মেয়ে উভয়কে স্থানীয় পাড়া প্রধানের জিম্মায় রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে পালিয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ছেলে মারা গেলেও আমার মেয়ে বেঁচে যায়।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব কর জানান, মরদেহ উদ্বার করে সুরতহাল শেষে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি সদরের বাস টার্মিনাল এলাকায় আব্দুল মোতালেব (২৯) নামে এক শ্রমিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি মাটিরাঙ্গায় ধনমিয়া সর্দার পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। পরিবারের দাবি, জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত মোতালেবের বড় ভাই আব্দুল বারেক বলেন, মোতালেব প্রায় জুয়া খেলত। খেলায় হেরে আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। গত শনিবার গভীর রাতে বাস টার্মিনাল এলাকায় গাছের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে মোতালেব।
এছাড়া জেলা সদরের কমলছড়িতে পদ্মাদেবী ত্রিপুরা (২০) নামে এক কলেজ পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক কলহের জেরে গভীর গত শনিবার রাতে বিষ খেয়ে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন তিনি। তিনি দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এডি/আরবি