যশোর: বাংলাদেশে ইলিশের প্রজনন মৌসুমের কারণে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ কারণে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সরকার অনুমোদিত ৩ হাজার ৯৫০ টনের মধ্যে গত ২০ দিনে ভারতে ৬০৯ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। সব ইলিশ রপ্তানি করতে আরও সময় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলছেন ব্যবসায়ীরা।
রপ্তানিকারক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের চাহিদার বিপরীতে ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ায় সরকার দেশের বাইরে রপ্তানি বন্ধ করেছে। তবে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সরকার প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ কেবল ভারতে রপ্তানি করে আসছে। পূজার সময়কালে অতিথি আপ্যায়নে বাংলাদেশের ইলিশের ভরসায় থাকে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা। এ বছর দেশের ৭৯টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার।
গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ইলিশ রপ্তানি। এ পর্যন্ত ২৯টি প্রতিষ্ঠান ৬০৯ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পেরেছে। কিন্তু এরই মধ্যে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন প্রজনন মৌসুমের কারণে ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষেধাজ্ঞায় রপ্তানি বন্ধের কবলে পড়েছে। এতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ রপ্তানিতে প্রতিবন্ধকতা এসেছে। রপ্তানিকারকরা বাকি ইলিশ পাঠাতে সময় বৃদ্ধির আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।
ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিসের রেজাউল ইসলাম বলেন, সময় না বাড়ালে সব ইলিশ রপ্তানি সম্ভব হবে না। যদি সরকার সময় বৃদ্ধি করে তবেই বাকি ইলিশ পাঠানো যাবে।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহাবুবুর রহমান জানান, প্রজনন মৌসুমের কারণে বৃহস্পতিবার আগামী ২২ দিন ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এতে এ বছর সব ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে না। গেল বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি ছিল ৩ হাজার টন। তখনও সময় কমের কারণে ১ হাজার ৩০০ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
ইউজি/এফআর