ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফিলিস্তিন ইস্যুতে সরকারের অবস্থান নিয়ে যা বললেন নুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
ফিলিস্তিন ইস্যুতে সরকারের অবস্থান নিয়ে যা বললেন নুর ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকার মুসলিমদের আবেগ নেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনি ইস্যুতে ভণ্ডামি মার্কা বিবৃতি দিয়েছে।  

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিশ্বের মানবিক রাষ্ট্রগুলোকে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। যে বিবৃতিতে তারা দ্বিচারিতা করেছে, ভণ্ডামি করেছে। তারা যুদ্ধ বিরতির কথা বলেছে। যুদ্ধ হয়, যখন দুই পক্ষ যুদ্ধ করে। ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ হচ্ছে না। ইসরায়েল নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করছে, আক্রমণ করছে। আর ফিলিস্তিনিরা প্রতিরোধ করছে, আত্মরক্ষার্থে রকেট ছুঁড়ছে। এটি কোনো যুদ্ধ নয়। সামনে নির্বাচন, সরকার মুসলিমদের আবেগ নেয়ার জন্য ভণ্ডামি মার্কা বিবৃতি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নজরদারি করার জন্য ইসরায়েল থেকে গোয়েন্দা নজরদারি যন্ত্রপাতি কিনেছে। আওয়ামী লীগ তলে তলে সমস্ত আকাম-কুকাম করছে। তাই তারা বলছে, তলে-তলে সব হয়ে গেছে। তারা যদি চতুর্থবার আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে ক্ষমতায় আসতে সহযোগিতা করে, তাহলে এখানে তারা (সরকার) ইসরায়েলকে দূতাবাস খুলতে দেবে। শেখ হাসিনার সরকার তলে তলে এই আলাপ আলোচনা করেছে। এই সরকার এবং কাদের ভাইরা তলে তলে ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতা করেছে ক্ষমতায় যেতে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুগের পর যুগ, প্রায় অর্ধ শতাব্দীর ওপর নিরীহ-নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের ওপরে ওই দখলদার ইসরায়েল বাহিনী পশ্চিমা দোসরদের সমর্থনে অব্যাহতভাবে প্রতি বছর প্রতি মাসে প্রতিদিন হামলা করে যাচ্ছে। আজকে ফিলিস্তিনের নাগরিকরা যখন নির্যাতিত হয়, বয়োবৃদ্ধ, নারী-পুরুষরা যখন আল আকসায় নামাজ পড়তে গিয়ে, প্রার্থনা করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়, নারীদের লাঞ্ছিত করা হয়, সে সময় আমাদের পশ্চিমা মিডিয়াগুলো নীরব থাকে। প্রকৃত ঘটনা তারা তুলে ধরে না। বিপরীতে যখন নির্যাতিত নিপীড়িত ফিলিস্তিনে সৈন্যরা যখন পাথর ছুঁড়ে, নিজেদের আত্মরক্ষার্থে প্রতিরোধ গড়ে তোলে সেটিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে পশ্চিমা মিডিয়াগুলোতে বর্ণনা করা হয়। এই ভণ্ডামি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পরিত্যাগ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্ব মোড়লদের বলব, এক চোখা চশমা পরিহার করে ভণ্ডামি ছেড়ে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ান। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাই মধ্যপ্রাচ্য সংকটের একমাত্র সমাধান।

এ সময় দেশের দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন নুর।

গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, আগামী নির্বাচন যাতে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য এই অক্টোবর মাসে গণআন্দোলন শুরু হবে। সেই গণআন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত করে ভারতের দোসর আওয়ামী সরকারকে হটাতে হবে, পরাজিত করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন ও গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
এসসি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।