পটুয়াখালী: জেলা সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নে কাওসার হোসেন নামে এক খামারির তিনটি গরুর গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনার ২২ দিন পর একটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে গরুটি মরে যায়।
তবে এ ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ করলেও অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় প্রতিবেশী হানিফাকে অভিযুক্ত করছেন গরুর মালিক ভুক্তভোগী মো. কাওসার।
তিনি বলেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আমার তিনটি গরু খামারে বেঁধে আমি আমার শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাই । পরদিন সকালে খামারে এসে দেখি গরুর গায়ে কে বা কারা অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে। এতে দুটি গরুই খুবই মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়। তাৎক্ষণিক আমার কান্না ও চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন তিনটি গরুই অসুস্থ অবস্থায় রক্ত ঝরছে। এরপরে আমি যখন ঘরে যাই তখন দেখি আমার ঘরে থাকা মূল্যবান এলইডি টিভি সেটিও ভেঙে ফেলে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সম্পর্কে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই এবং তাদের সহায়তায় ২৫ সেপ্টেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
কে বা কারা এমনটি করতে পারে প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতিবেশী হানিফার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। তিনিই কাজটি করেছেন বলে আমি বুঝতে পারছি। আমি একজন সামান্য মোটরসাইকেলচালক। এই তিনটি গরু অ্যাসিড মারার ফলে আমার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি পথে বসে গেছি।
কাওসারের মা খাদিজা বেগম বলেন, আমি ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় ছিলাম, ঢাকায় বসে শুনি আমাদের খামারের গরুর গায়ে হানিফা অ্যাসিড নিক্ষেপ করছে। আমার এত দামের গরুর যে ক্ষতি করল, বোবা প্রাণীগুলো কত কষ্ট পাচ্ছে। আমি এসব কোনোদিন ভুলতে পারব না। আমি এর বিচার চাই।
৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লালু শিকদার বলেন, কাওছারের পরিবারে খুবই গরিব, এভাবে কোনো প্রাণীকে অ্যাসিড মেরে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এর বিচার চাই। আমিও হানিফাকে সন্দেহ করছি। কারণ ওই পরিবারের সঙ্গে হানিফার দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম বলেন, অ্যাসিড নিক্ষেপের বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে যাকে সন্দেহ করা হয়েছে তাকে আটকের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আশা রাখি খুব দ্রুত তাকে আটক করতে পারব।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এসএএইচ