দক্ষিণ গাজায় যুদ্ধবিরতির খবর নাকচ করেছে ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাসের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
বিবিসি জানিয়েছে, রয়টার্সের যুদ্ধবিরতি বিষয়ক এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুই পক্ষ থেকেই এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
মিশরের দুটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিশর, ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির আওতায় রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সময় নিয়ে অস্পষ্টতা থাকলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হবে। উল্লেখিত তিনটি দেশ সম্মত হয়েছে যে রাফাহ ক্রসিং সোমবার কয়েক ঘণ্টার জন্য খোলা থাকবে।
মিশরের সিনাই উপদ্বীপ এবং হামাস-শাসিত গাজার মধ্যবর্তী সীমান্তে রাফাহর অবস্থান। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে এটিই একমাত্র ক্রসিং যা ইসরায়েল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়।
মিশর বলেছে, সাম্প্রতিক দিনগুলিতে মিশরীয় দিক থেকে ক্রসিংটি খোলা ছিল, কিন্তু ফিলিস্তিনের দিকে ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে এটি অকার্যকর হয়ে পড়েছিল।
মার্কিন সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেনের কায়রো সফরে গাজা থেকে বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ এবং বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার পক্ষ থেকে আসা ত্রাণ গাজায় প্রবেশের বিষয়গুলো একটি চুক্তির অপেক্ষায় আটকে ছিল।
সাময়িক যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করা হলে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে হামাসের সরকারি মিডিয়া অফিসের প্রধান সালামা মারুফ বলেছেন, তারা ক্রসিং খোলা সম্পর্কে মিশরীয় পক্ষ থেকে কোনো নিশ্চয়তা পাননি।
ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস বলেছে, রাফাহ পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত। ভ্রমণকারীদের রাফাহ ক্রসিং পেরুনোর অনুমতি দেওয়া হবে কি না, দেওয়া হলেও কতক্ষণের জন্য তা স্পষ্ট নয়। তবে যারা এই ক্রসিং নিরাপদ মনে করে তারা যেতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, বিদেশি নাগরিকদের বের হতে দেওয়ার বিনিময়ে গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য বর্তমানে কোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এমএম