পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বাল্যবিয়ে করতে গিয়ে সাব্বির হোসেন (২৪) নামে এক বরকে কারাগারে পাঠিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জীপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হাসান।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাব্বির হোসেন উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে দর্জীপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দীনের অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৭) মেয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী শালবাহান ইউনিয়নের মজিবর রহমানের ছেলে সাব্বিরের বিয়ের আয়োজন করা হয়।
বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন খবরে তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন থানা পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কনের বাবা ও পরিবারের অভিভাবকরা পালিয়ে যায়।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক কনের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। বর এবং তার পরিবারের সদস্যরা সহযোগিতা না করে তথ্য গোপন করেন। পরে কনের জন্মনিবন্ধনসহ প্রয়োজনীয় কাগজ যাচাই করলে বিবাহের জন্য কনের অপ্রাপ্ত বয়স সত্যতা পাওয়ায় যায়। পরে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৭ (১) ধারায় বর সাব্বিরকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এ বিষয়ে ইউএনও ফজলে রাব্বি বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি আইন অনুযায়ী মেয়েদের ১৮ বয়সের নিচে বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে রাতে অভিযান চালানো হয়। এসময় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর সাব্বিরকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনছারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর রাতেই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভবিষ্যতে বাল্যবিবাহ নিরোধ করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইউএনও।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
এসএম