ঢাকা: অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সৈয়দ আরিফ হাসান রনি, সুমন ইসলাম হৃদয়, রাসেল আহমেদ, হাবিব ও খন্দকার মো. ফারুক।
শনিবার (২১ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সকালে মতিঝিল ও বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের লোনের নকল অনুমোদনপত্র, নকল সিল ৭টি, ঋণের নকল চুক্তিপত্র, অফিস রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন ব্যাংকের নকল ঋণ আবেদনপত্র এবং গ্রাহককে দেওয়া নকল মানি রিসিট জব্দ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হাসান জানান, ইলমান খান নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সংক্রান্ত তথ্য দেখে গ্রেপ্তারকৃত আরিফের সাথে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে আরিফ শিল্প ঋণ, এসএমই, পার্সোনাল লোন ও হোম লোনসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ প্রক্রিয়া করার কথা ইলমানকে জানান। ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করে দুটি লোনের জন্য আরিফের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করে এবং অফিস খরচ, ঋণের প্রাক অনুমোদন অডিট বাবদ বিভিন্ন সময়ে ২১ লাখ পাঁচ হাজার টাকা দেন। পরে ইলমান বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ইলমান পাওনা টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্তরা টাকা না দিয়ে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ইলমান মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
তিনি বলেন, মামলাটি ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে হস্তান্তর হলে ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে শুক্রবার মতিঝিল ও বনশ্রী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রতারণা এড়াতে লোন বা আর্থিক কাজের জন্য সরাসরি ব্যাংক বা আর্থক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
এজেডএস/এএটি