কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। এতে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় কক্সবাজারসহ সব সমুদ্রবন্দরে জারি করা হয়েছে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত।
সোমবার বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা, লাবণী, কলাতলীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। বালিয়াড়িতে দৌঁড়ঝাপসহ পর্যটকরা সৈকতে আনন্দমুখর সময় কাটাচ্ছেন। যদিও লাইফগার্ড কর্মীরা রয়েছেন সতর্কাবস্থায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে অনেক পর্যটক কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন। তাদের অনেকে বৈরী আবহাওয়ার ফাঁদে পড়েছেন। সেজন্য এমন আবহাওয়া সত্ত্বেও আনন্দ মাটি করতে চাইছেন না তারা।
সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মী বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এই সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার বেশি পর্যটক ছিল। দুর্গাপূজার ছুটি থাকায় দূর-দুরান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজার এসেছেন।
সেজন্য তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি হলেও এখনো সাগর মোটামুটি স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। যে কারণে এখন পর্যন্ত পর্যটকেরাও সৈকতে যে যার মত সময় কাটাচ্ছেন।
সৈকতে দায়িত্বরত এক লাইফগার্ড কর্মী বলেন, সাগরে সিগন্যাল থাকায় আমরা সতর্কাবস্থায় রয়েছি। যারা সমুদ্রস্নানে নামছেন তাদের বেশি দূর যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
কুমিল্লা থেকে আসা পর্যটক মো. ফরহাদ রেজা বাংলানিউজকে বলেন, চলে আসার পর দেখছি আবহাওয়া খারাপ। এখন নাকি তিন নম্বর সংকেত দিয়েছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও সবকিছু স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তাই বিচে নেমেছি।
‘চলে এসেছি যখন, এখন তো আর রুমে বসে থাকতে পারি না, তাই বিচে এলাম’, এভাবেই বলেন ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সুবল শর্মা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হলেও সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে সমুদ্রস্নানে কাউকে নামতে দেওয়া হবে না।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সৈকতের সবকটি পয়েন্টে টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তারা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ হলে সৈকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
এসবি/এইচএ