ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিষেধাজ্ঞা শেষ, গভীর রাতে নদীতে নৌকা ভাসাবেন জেলেরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২৩
নিষেধাজ্ঞা শেষ, গভীর রাতে নদীতে নৌকা ভাসাবেন জেলেরা

লক্ষ্মীপুর: ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মা ইলিশ রক্ষায় টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মধ্যরাতে। এরপর নদীতে জেলেদের মাছ শিকারে কোনো বাধা থাকবে না।

 

গত ১২ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।  

এদিকে নদীতে মাছ শিকারে লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন জেলেরা। কোনো কোনো জেলে নৌকা ও মাঝি-মাল্লা নিয়েই রাতেই মাছ শিকারে নেমে পড়বেন। কেউ আবার ভোররাত থেকে শুরু করবেন মাছ শিকার।  

চররমনী মোহন এলাকার জেলে ট্রলার মালিক গিয়াস উদ্দিন বলেন, নদীতে নামার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করি শুক্রবার সকালে নদীতে মাছ শিকারে যাব।  

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন থেকে জাল এবং নৌকা মেরামত করে নিয়েছি। আমাদের লোকজনও প্রস্তুত রয়েছে।  

সদর উপজেলার চর আলী হাসান গ্রামের জেলে মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, আজ রাত ১২টার পর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে আমরা নদীতে নামব। এরই মধ্যে জাল এবং নৌকা মেরামত করে নিয়েছি। একটি ট্রলারের মধ্যে আমরা ৮ জন মাছ শিকার করি। রাতেই নদীর গভীর অংশে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে নেমে যাব৷ 

কমলনগর উপজেলার মতির হাট মাছঘাটের সভাপতি মো. আবদুল খালেক বলেন, নদীতে নামার জন্য জেলেরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমরাও মাছঘাটের বাক্সগুলোকে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে নিয়েছি।  

চররমনী মোহনের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য দুলাল হোসেন বলেন, আমার এলাকায় প্রায় দুইশ জেলে রয়েছে। তারা সাগর বা গভীর নদীতে মাছ শিকার করে। মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুর অংশ অগভীর হওয়ায় ইলিশ মাছ তেমন একটা ধরা পড়ে না। তাই জেলেরা নোয়াখালীর সুবর্ণচর এবং হাতিয়া এলাকার দিকে মাছ শিকার করতে চলে যাবে।  

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলাতে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি জেলে রয়েছে।  

এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন নদীতে অভিযান চালিয়েছে জেলা ও উপজেলা মৎস্য প্রশাসন।  

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে লক্ষ্মীপুর মৎস্য বিভাগ কর্তৃক ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২৮১ টি অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় ৫৮ টি মোবাইল কোর্ট করা হয়। অভিযানে ১ দশমিক ২৫৮  টন ইলিশ ও ২৮ দশমিক ৮৪ লাখ মিটার জাল ও ১৪ টি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। ৬৮ টি মামলায় দুই লাখ তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ৩৪ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।