ঢাকা: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে রাজধানীতে বাড়তে শুরু করেছে গণপরিবহন; বেড়েছে যাত্রীও। ট্র্যাফিক সিগন্যালেও অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেককে।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে অফিসমুখী কর্মজীবী মানুষের যেমন ভিড় ছিল, তেমনি যানবাহনের আনাগোনাও ছিল নগরীতে। এরমধ্যেই কয়েক জায়গায় বাসে আগুন দিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা ছিল দুর্বৃত্তদের।
নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক এ কর্মসূচির মধ্যে রোববার ঢাকায় অফিস-আদালতের পাশাপাশি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিয়মিত কার্যক্রম চলেছে। ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রী পরিবহন হলেও ঢাকা থেকে বেশিরভাগ রুটেই চলেনি বাস। স্বল্প দূরত্বের জেলাগুলোর মধ্যে কিছু বাস চললেও তা ছিল হাতেগোনা। দূরের পথে প্রধান বাস টার্মিনালগুলো থেকে বাস ছাড়েনি।
সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধে বিএনপির পর পৃথকভাবে জামায়াতের ডাকা এদিনের কর্মসূচিতে ঢাকার বাইরেও বেশ কিছু স্থানে আগুন দিয়ে নাশকতার চেষ্টা হয়েছে। তবে আগের দিনের মতো বড় ধরনের কোনো সংঘাত ও প্রাণহানির খবর মেলেনি। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক জেলায় ও মহাসড়কে কিছু ঘটনা ঘটেছে। কিছু কিছু জায়গায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
অপরদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়। আর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে দিনভর সতর্ক পাহারায় থাকতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
সকালে বাইরে জনসমাগম বাড়তে থাকায় সড়কে যানবাহনও নামতে থাকে। গণপরিবহনসহ ব্যক্তিগত যানের সংখ্যাও বাড়ে এদিন। নগর পরিবহনের বাসগুলো চললেও দূর পাল্লার বাস প্রায় বন্ধই ছিল। বাসের কাউন্টার থেকে জানানো হচ্ছে, যাত্রী না থাকায় বাস ছাড়া যাচ্ছে না। যাত্রীর অভাবে লঞ্চ চলাচলও কমেছে।
এদিন কারওয়ানবাজার, মতিঝিলের ব্যাংক পাড়া, শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট এলাকা, বেসরকারি অফিস ও সচিবালয়মুখী সড়কগুলোতে সকালে যানবাহনের চাপ ছিল। পাবলিক বাসের পাশাপাশি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও রিকশা চলেছে শহরজুড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২৩
এইচএমএস/এফআর