সিলেট: ভিজ্যুয়াল মিডিয়াকর্মী ধর্ষণ মামলায় নারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার ও আজ সোমবার পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে রাজনের ভাই ফাহিমকে আটক করলেও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মূল আসামিসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সিলেট নগরের রায়নগরের বর্তমান বাসিন্দা ভিজ্যুয়াল মিডিয়াকর্মী এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন ও পর্নোগ্রাফি ভিডিওচিত্র ধারণের মাধ্যমে জিম্মি করে লাগাতার ধর্ষণ করে শাহ নেওয়াজ হোসেন শাহীন নামে এক ব্যক্তি। তিনি নগরের মিরাবাজার এলাকার উদ্দীপন ৬২’র মৃত শফিক মিয়ার ছেলে।
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন শাহীন। নগরের রায়নগরে ভুক্তভোগীর বাসাতেই ঘটনাগুলো ঘটে। শাহীনের পরিবার-পরিজনসহ বন্ধুরাও এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী ভিজ্যুয়াল মিডিয়াকর্মী।
দীর্ঘদিন ধরে শাহীন তার সঙ্গে মেলামেশা করেও বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে ভুক্তভোগী গত ১৫ অক্টোবর সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গিয়ে একটি দরখাস্ত মামলা করেন। এতে ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগ এনে শাহ নেওয়াজ হোসেন শাহীনসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করেন তিনি।
ট্রাইব্যুনাল দরখাস্ত আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনসহ পেনাল কোডের সংশ্লিষ্ট ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করতে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। পরে
গত ২৭ অক্টোবর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজান রোববার বিকেল থেকে সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে শাহীনের ভাই রাজন ও তার স্ত্রী শারলিন এবং ছোট ভাই ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে। ধর্ষণ মামলার মূল আসামি শাহ নেওয়াজ হোসেন শাহীন এখনো পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৩
এনইউ/এমজে