ফরিদপুর: জেলার ভাঙ্গায় মামুন শিকদার (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একই সময় তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখমও করা হয়।
বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) সকাল ১১টার সময় পুলিয়া নয়াকান্দা যাওয়ার সময় ধানক্ষেতের ভেতরে ধরে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করা হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভাঙ্গা উপজেলার তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামের মামুন শিকদারের সঙ্গে একই গ্রামের ফারুক তালুকদারের ইটভাটা ও গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। মামুন শিকদারের ভাড়ায়চালিত ইটের ভাটাটি কৌশলে ফারুক তালুকদার ২ বছর আগে নিয়ে নেয়। এছাড়া মামুন শিকদারসহ তার কিছু লোকজন নিয়ে ফারুক তালুকদারের গ্রাম্যদল ত্যাগ করে মোতালেব মাতুব্বরের দলে যোগ দেয়। পূর্ব শত্রুতা, গ্রাম্য দলাদলি ও ইটভাটাকে কেন্দ্র করে মামুন শিকদারকে একা পেয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। মামুন শিকদার আজিমনগর ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রশিদ শেখ জানায়, আমি মাছ বিক্রি করে যাইতেছি, হঠাৎ চিৎকার শুনে দেখি ৭/৮ জন লোক মামুনকে ধানক্ষেতে নিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আমি ওদের হাতে পায়ে ধরেছি কিন্তু মামুনকে রক্ষা করতে পারিনি।
আজিমনগর ইউনিয়নের প্রত্যক্ষদর্শী ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার হাবিব মিয়া জানান, চিৎকার শুনে দৌড়ে আসি। ৭/৮ জন ফারুক তালুকদারের লোক মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে চলে যাচ্ছে এবং আরো ৭/৮ জন লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাহসিন জানান, থানা থেকে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং ঘটনার সত্যতা পাই। ঘটনাস্থল থেকে দুটি হাতুড়ি উদ্ধার করি। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। মামুনকে ভাঙ্গা থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে এবিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৩
এসএএইচ