ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফিলিস্তিন ইস্যু

বিশ্ব মানবিকতার বিবেক এখন কোথায়, জানতে চান প্রধান বিচারপতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
বিশ্ব মানবিকতার বিবেক এখন কোথায়, জানতে চান প্রধান বিচারপতি

ঢাকা: ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিশ্ব মানবিকতার বিবেক এখন কোথায়, জানতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, নবী করীম হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা বলেছিলেন।

শুধু মুসলমানের জন্য ভালোবাসার কথা বলেননি। সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য বলেছেন।  

পবিত্র ঈদে মিলাদু্ন্নবী-২০২৩ উপলক্ষে ‘হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং একটি মানবিক বিশ্ব’ শীর্ষক আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রোববার (১২ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান (এম আর হাসান), অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা একটা বিশ্বাসের ওপরে চলছি। এই বিশ্বাসটা হচ্ছে, নবী করীম সা. বলে গেছেন এটা আল্লাহর কোরআন। তোমরা এটা ফলো করো। এখানে সব কথা বলা আছে। এই অনুযায়ী চলো। আর আমার জীবন চরিত লক্ষ্য করো। আমরা তার জীবন চরিত লক্ষ্য করে চলছি। এই জীবন চরিত্র লক্ষ্য করে চললে আমার মনে হয় না আমাদের জীবনে কোনো দুঃখ কষ্ট থাকবে। বিশ্ব মানবিকতার কথা বলা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, বিশ্বে আজকে মানবিক বিপর্যয় ঘটছে। আজকে ফিলিস্তিনের যে অবস্থা- এই অবস্থার জন্য কারা দায়ী, কীভাবে দায়ী, কেন হলো এই অবস্থা? ইতিহাস পেছন থেকে একটু পড়তে হবে। ইতিহাস যদি পড়েন দেখবেন, কমবেশি সকলের ভুল থাকতে পারে। কিন্তু একটি বিষয়ে ভুল নেই- মানুষকে হত্যা করা, নারী হত্যা করা, শিশু হত্যা করা, যেকোনো মানুষকে হত্যা করা জঘন্য পাপ। সব ধর্মে তাই বলে।

ফিলিস্তিনের বিপর্যয়ের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, টেলিভিশনে দেখবেন প্রতিদিন ফিলিস্তিনে কত লোক মারা যাচ্ছে। আমরা এক উম্মাহ বলি! সারা বিশ্বের মুসলিমরা এক উম্মাহ! কোথায়? কোথায় হইচই, কোথায় শব্দ?

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করেছে। আমরা কোনো আক্রমণকে সমর্থন করি না। বাংলাদেশ সরকারও সমর্থন করেনি। সেখানে বিশ্বের বহু অংশ সরব। জাতিসংঘে রেজুলেশন নিচ্ছে। সেখানে তারা ভেটো দিচ্ছে। কিন্তু ইসরাইলের ব্যাপারে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি শক্ত কথা বলেছেন, সেই শক্ত কথা বলার পরে জাতিসংঘের মহাসচিবের পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। ইসরাইল সেদিন যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে যে রেজুলেশনের কপি ছিঁড়ে ফেলে দিল কোনো একটা মিটিংয়ে- আমার কাছে মনে হয়েছিল পতন বোধহয় আসন্ন। কারণ, এ রকম একটি ঘটনা ১৯৭১ সালে জুলফিকার আলী ‍ভুট্টো ঘটিয়েছিলেন। যখন নাকি বাংলাদেশের অত্যাচারের ব্যাপারে একটি রেজুলেশন নেওয়া হয়েছিল। জুলফিকার আলী ভুট্টো তখন সেটা ছিঁড়ে রেখে দিলেন। পতন হয়ে গেল পাকিস্তানের। ঠিক আমার কাছে মনে হয়েছে ইসরায়েল সে ঘটনাই ঘটিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
ইএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।