কুমিল্লা: কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই গোত্রের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৯ নভেম্বর) তিতাস উপজেলার বলরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. নুর নবী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মসজিদের জায়গা নিয়ে সরকার বাড়ির শাখাওয়াত সরকারের সঙ্গে ভুঁইয়া বাড়ির শেখ সাহেবের সমর্থকদের দীর্ঘদিন ধরে মারামারি মামলা পাল্টা মামলা চলে আসছে। এরই জেরে শনিবার দুই গোত্রের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় উভয়ের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে ফের উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ১০ জন আহত হন।
এ বিষয়ে ভুঁইয়া বাড়ির শেখ সাহেবের সমর্থক দক্ষিণ বলরামপুর গ্রামের শামিম মিয়া বলেন, সকালে আমি মাছিমপুর বাজার থেকে আসছিলাম পথে প্রতিপক্ষ সরকার বাড়ির লোকজন আমাকে মারধর করেন। এসময় আমার ছোট ভাই রিপন প্রতিবাদ করলে সরকার বাড়ির লোকজন এসে আমার বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করেন।
সরকার বাড়ির মিয়া হাজী বলেন, বাড়ি আসার পথে আনোয়ার হোসেনের ছেলে শামিম মিয়া আমার পথরোধ করেন। শামিমের ছোট ভাই রিপন এসে আমাকে থাপ্পড় মারেন। প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
বলরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর নবী বলেন, দক্ষিণ বলরামপুর দুই গোত্রের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে খবর পেয়ে থানা পুলিশসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ মীমাংসা করে দেওয়া হবে বলেছি। এরপর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ভুঁইয়া বাড়ি বনাম সরকার বাড়ির মধ্যে মসজিদের জায়গা নিয়ে মারামারি, মামলা পাল্টা-পাল্টি মামলা চলে আসছে। হাইকোর্টে এখনও মামলা চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
আরএ