ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রয়োজন অনুসারে রেল পুলিশ বাড়ানো হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
প্রয়োজন অনুসারে রেল পুলিশ বাড়ানো হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

ঢাকা: রেল পুলিশের লোকবল বাড়ানোর প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, গাজীপুরে রেল দুর্ঘটনায় দুটি তদন্ত টিম তাৎক্ষণিক দেওয়া হয়েছে।

তারা কাজ করছে। এ ঘটনায় যারা মাস্টারপ্ল্যানার সবাইকেই আমরা আইডিন্টিফাই করব। শিগগিরই আমরা ধরতে পারব।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
 
রেল মন্ত্রণালয় থেকে আপনার কাছে দুই হাজার সাতশ রেল পুলিশ চাওয়া হয়েছে তাদের নিরাপত্তার জন্য। আর গাজীপুরের ঘটনার জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে আপনারা দেখেছেন ওই এলাকায় জনমানুষ থাকে না, জনবসতিও নেই। কুয়াশার রাত ছিল, দুর্ঘটনা ঘটেছে। এজন্য দুটি তদন্ত টিম তাৎক্ষণিক দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন হাজার-হাজার কিলোমিটার রেললাইন এখান সারা বাংলাদেশে। যেখানে মানুষ থাকে না, সেই রেললাইন টার্গেট করেছে এবং টার্গেট করে তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। রেল মন্ত্রণালয় থেকে যে চিঠিটি দিয়েছেন আমাদের কাছে, আরও ফোর্স চেয়েছেন। আমরা আলোচনা করে সেখানে লোকবল বাড়ানো প্রয়োজন নিশ্চয়ই করা হবে।

এ ঘটনায় কেউ কি এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাস্টারপ্ল্যানার যারা সবাইকেই আমরা আইডিন্টিফাই করব। শিগগিরই ধরতে পারব।

রেললাইন উপড়ে ফেলা সত্যিই অত্যন্ত দুঃখজনক জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা দেশকে ভালোবাসে তারা এ কাজটি করতে পারে না।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আপনারা অগ্নিসন্ত্রাস দেখেছেন। তখনও রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়েছিল। সেটাও দেখেছেন। জানমালের ক্ষতি তো হয়েছে, নিরীহ মানুষকেও হত্যা করা হয়েছে। সেসব দৃশ্য দেখেছেন। এবারও আমরা সেটি লক্ষ্য করছি। তারা শুধু গাড়িতে অগ্নিসংযোগ দিচ্ছে না, রেললাইনও উপড়ে ফেলেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং সাতজন গুরুতর আহত অবস্থায় আছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা একটি অসংবিধানিক ওয়েতে কিভাবে আবার ষড়যন্ত্র করে আবার একটি অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে সরকার পতন করা যায় কি না, সেটারই প্রচেষ্টায় তারা এগুলো করছে। এ দেশের জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এটা তারা স্পষ্ট জেনেছে। সেজন্যই নির্বাচন না করে তারা ঘটনার অবতারণা ঘটাচ্ছে।  এদেশের জনগণ এসবের সঠিক জবাব দেবে।

বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য তিনি পুলিশ প্রশাসনের প্রশংসা করে বলেন, নির্বাচনের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। ১৫ বছর আগের যে পুলিশ, এ পুলিশের মধ্যে অনেক ডিফারেন্স। এরা দেশপ্রেমিক পুলিশ, এরা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করছে।  এরা প্রফেশনাল এবং তারা অনেক দক্ষ। কাজেই এরা সুন্দরভাবে জানমাল রক্ষা করে নির্বাচনটি সুন্দরভাবে উঠিয়ে দিতে পারবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাড়িতে যতগুলো অগ্নিসংযোগ হয়েছে সবগুলোকেই ধরা হয়েছে। এখন অগ্নিসংযোগের একটা নতুন মাত্রা তারা তৈরি শুরু করেছে। রাস্তার টোকাইদের তিন, দুই বা পাঁচ হাজার করে এরা কন্টাক্টে নিয়ে যায় এবং যারা নিয়ে যাচ্ছে টোকাইরা তাদের নাম আমাদের বলছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেছে। বাসের অগ্নিসংযোগ যারাই করছে, জনতার কাছে ধরা পড়ছে কিংবা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

পাইকগাছায় গভীর রাতে আদালতে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ জায়গায় কারো গাফিলতি আছে কি না, আমরা দেখছি এবং যারা করেছে আমরা নিশ্চয়ই আমাদের যে তথ্য, সেই অনুযায়ী আমরা ধরে ফেলতে পারব।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩,২০২৩
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।