ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামেনি রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
বাংলাদেশ ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামেনি রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত

ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামেনি রাশিয়া। তবে তারা (পশ্চিমা দেশ) কী করছে, আর কী করতে পারে, তা আমরা তুলে ধরেছি।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় রুশ দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপারেশনে সহায়তা করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনী। তখন মাইন অপসারণে সহায়তাকারী সেই নৌবাহিনীর সাবেক দুই সদস্য বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে এসেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা সেই সময়ের স্মৃতি তুলে ধরেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘আরব বসন্ত’ ঘটাতে চায়। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়।  

এ সময় তিনি বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণে সহায়তা করেছিলেন, তা তুলে ধরতেই আমরা এখানে সংবাদ সম্মেলন করছি। তবুও বলতে চাই, বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে নামেনি রাশিয়া। তবে তারা (পশ্চিমা দেশ) কী করছে, আর কী করতে পারে, তা আমরা তুলে ধরেছি। এ বিষয়ে আমি আগেও কথা বলেছি।  

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাশিয়া সহযোগিতা করতে পেরেছে বলে আমরা খুশি। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আমরা অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত।

সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনীর সাবেক দুই সদস্য ভিটালি গুবেনকো ও আলেক্সান্ডার জালটস্কি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ভিটালি গুবেনকো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মাইন অপসারণের জন্য  ১৯৭২ সালে আমি চট্টগ্রাম আসি। তখন কাজটি খুব কঠিন ছিল।

দুই বছর অক্লান্ত চেষ্টায় মাইন অপসারণ করা হয়। পরে বন্দর দিয়ে জাহাজ চলাচলও শুরু হয়। তখন স্থানীয় জনগণ খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিলেন। তাদের কথা আমার স্মরণে আছে।

তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে এদেশের অবকাঠামোগত তোমন কোনো উন্নতি ছিল না। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে খুব ভালো লাগছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩   
টিআর/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।