ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের মধ্যে যারা দেশের বাইরে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতেই বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, হত্যাকারীদের মধ্যে যারা দেশের বাইরে আছেন, তাদের ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে তৃতীয়বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অস্বস্তিকর বলে যে মন্তব্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন করেছে, সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বচনকালীন সময়ে কোনো সহিংসতা ছিল না। কোনো দেশের নির্বাচনের সময় স্কারমিসেচস (আন্তঃকোন্দল) যেটা হয়, ততটুকুই হয়েছে। এমন কোনো বড়ো ঘটনা ঘটেনি, যেটাকে অনেক সহিংসতা বলা যায়।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের কারাগারে যেতে হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তাদের মামলা এখনো চলমান। বিচার আদালত করেন, সরকারের কোনো হাত নেই। আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলবো। কারণ আমার মনে হয়, তথ্যগত কারণে তিনি এমন বিবৃতি দিয়েছেন।
সুশাসন নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয় কী ভূমিকা রাখবে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অঙ্গীকার দেশবাসীর প্রতি এবং নির্দেশনা আমাদের প্রতি, সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় অনেক অগ্রগতি সাধারণ করেছে। প্রথম কথা হলো, কোভিড মহামারি ছিল, তখন বিশ্বজুড়ে একটা স্থবিরতা চলে এসেছিল, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যেও বিচারিক ব্যবস্থার মধ্যে একটা স্থবিরতা চলে এসেছিল।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভার্চ্যুয়াল আদালত স্থাপন করে আমরা বিচার ত্বরান্বিত করা হয়েছে। কারাগারেও যাতে জটিলতা তৈরি না হয়, সেই অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। অনেক মামলার সুরাহা করা হয়েছে। আমরা অনেক আইন করেছি, বিশেষ করে সাক্ষ্য আইন। এই আইনে যে সংশোধন করা হয়েছে, নারীদের ইজ্জতের ব্যাপার ছিল সেখানে। এটি একটি বিরাট পদক্ষেপ। এভাবে আমরা অনেক আইন করেছি। তারপর নির্বাচন আইন করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যে আইন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুসারে যে আইন করা হয়েছে, তাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে দুটি বিভাগই যথেষ্ট কাজ করেছে। তাতে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বহুদিন ধরে মামলা জটের বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় গেল ১০-১৫ বছর আমাদেরকে এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে। আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
জিসিজি/এমজে