টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরীকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার প্রতিবাদ ও পুনরায় চাকরিতে বহালের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট ও কর্মবিরতি পালন করছেন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সব অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ করে ধর্মঘট করেন কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. দানেজ আলীর ছেলে মো. সোহেল রানা ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন।
চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন সোহেল রানা ও তার পরিবার।
অবস্থান ধর্মঘট পালন করা কর্মচারীদের দাবি, চাকরি চলাকালে নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালনে ভুল ত্রুটি থাকলেও তাকে সংশোধনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। সরাসরি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া অমানবিক হয়েছে। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছেন সোহেল রানা ও তার পরিবার। সোহেল রানাকে স্বপদে বহাল রাখতে হবে অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট ও কর্মবিরতি পালন করার হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
সোহেল রানা বলেন, চেয়ারে বসে আমি দুই তিন মিনিট ঝিমানোর কারণে আমার চাকরি চলে গেছে। এ অবস্থায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টে আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার মা, তার কাছে আমি বিচার চাই। আমার কোনো দোষ থাকলে বিচার করুক কর্তৃপক্ষ। তারপরও চাকরি ফেরত দিক।
সোহেলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা দানেজ আলী বলেন, আমার ছেলে কোনো ভুল করলে তাকে শোকজ করতে পারতো। কিন্তু এভাবে অবসর দেওয়া স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সোহেলকে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, নিরাপত্তা প্রহরী মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়ায় রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সোহেল রানা কোনো আবেদন করেননি। আবেদন করলে রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
আরএ