গোপালগঞ্জ: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকীতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এরপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর ৫ মিনিট পর রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পৌঁছান। রাষ্ট্রপতিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি সমাধিসৌধের পাশে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
এদিকে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে শিশু সমাবেশে যোগ দেবেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠেয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
এরপর প্রধানমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করবেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী অসচ্ছল ও মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফটোসেশনে অংশ নেবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বইমেলা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয় তোরণ। নেতা-কর্মীদের মাঝে আনন্দ-উদ্দীপনা দেখা যায়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অতিথিদের আগমনকে নির্বিঘ্ন করতে টুঙ্গিপাড়াসহ গোপালগঞ্জ জেলাজুড়ে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৪
এইচএ/