ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দ্রব্যমূল্য শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের সবখানেই বাড়ছে: ফারুক খান

স্টাফ করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৪
দ্রব্যমূল্য শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের সবখানেই বাড়ছে: ফারুক খান

ঢাকা: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, দ্রব্যমূল্য শুধু বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্বের সবখানেই বাড়ছে। ক্ষেত্রবিশেষে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বাড়ছে।

 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভা আয়োজন করে জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি।  

মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, দ্রব্যমূল্য শুধু বাংলাদেশে বাড়ছে না, অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। সারাবিশ্ব, সব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির এ অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।  

১/১১ এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে দল যাতে না ভাঙে সেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, জিল্লুর রহমান সাহেবের দল ও দেশের প্রতি যে আনুগত্য অপরিসীম। ১/১১ এর সময়ে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল তখন প্রধানমন্ত্রীকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাকে যখন কোর্টে নেওয়া হয় তখন সেখানে আমিও ছিলাম। তখন তিনি আমাকে ডেকে দুটি কথা বললেন, জিল্লুর রহমান সাহেবকে সভাপতি বানিয়েছি, তাকে অনেকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, আপনি তার সঙ্গে থাকবেন। আর দল যাতে কোনোভাবে না ভাঙে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালে আমরা বিপদের সময় একত্র ছিলাম। জাতির ক্রান্তিলগ্নে। ঐক্যবদ্ধ থাকলেই এগিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে যায়নি। বিএনপি-জামায়াত আমাদের পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, জিল্লুর রহমান সাহেব ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তার নম্রতা ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি কোনো কিছুই জাহির করতেন না। যা করতেন কর্তব্যের তাগিদে করতেন। যখন নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল তখন জিল্লুর ভাইয়ের সঙ্গে আমরা কাজ করতাম। তখনই তিনি বলেছিলেন, আন্দোলনটা করতে হবে।

জিল্লুর রহমানের মতো মানুষ বারবার আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি বিরল গুণ সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা ছিল তার মধ্যে। তিনি উচ্চ কণ্ঠে কথা না বললেও একটা সভায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারতেন। তার এ জিনিসগুলো আমাদের শেখা উচিত। মৃদুভাষী এবং নম্রতাকে আমরা রাজনীতিতে নেতিবাচক হিসেবে দেখি।

সভায় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জিল্লুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধিকারের আন্দোলনের প্রত্যেকটি স্তরেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে গেছেন। তার মতো নেতার আদর্শ যুগ যুগ উদাহরণ হয়ে থাকবে।

কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ জানান, জিল্লুর রহমান খুবই ধীরস্থির প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি বলেন, এমন লোকেরা ক্ষণজন্মা। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাকে বিশ্বাস করে যখন দলের দায়িত্ব তার হাতে দিয়ে গেলেন তখন তিনি দলের ক্ষতি হবে এমন কিছুতে একটুও প্রশ্রয় দেননি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ত্যাগের পুরস্কার হিসেবে আমাদের কেবিনেটে নিয়ে এসেছেন। আমি কৃষকদের কীভাবে উন্নতি করা যায়, কীভাবে ফসলের উৎপাদন আরও বাড়ানো যায় তার চেষ্টা করবো।

জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর আহমেদের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ ও হুমায়ুন কবির মিজি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৪
এইচএমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।