ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন নারী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন নারী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ঢাকা হতে চট্টগ্রাম অভিমুখী ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’ চলন্ত অবস্থায় ‘ড বগি’তে এক নারীর হঠাৎ প্রসব ব্যথা ওঠে।  

পথে ভৈরব স্টেশন অতিক্রম করে যাওয়ার সময় ট্রেনের মধ্যেই একটি মেয়ে নবজাতকের জন্ম দেন ওই নারী।

শনিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ট্রেনে ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুটি।  মা-মেয়েকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ট্রেনে সন্তান জন্মদানকারী ওই প্রসূতির নাম মোছাম্মত জান্নাতুন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলি থানার শিকলবাহা ইউনিয়নের ইকবাল হোসেনের স্ত্রী।

জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেসটি ভৈরব বাজার স্টেশন অতিক্রম করে আশুগঞ্জ পার হয়ে তালশহর স্টেশনে এলে নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়। খবরটি ঢাকা কন্ট্রোল অফিস থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন মাস্টারকে অবগত করেন। তখন ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয় ট্রেনটি। স্টেশনে আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা একটি সিএনজিকে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু ও তার মাকে।  হাসপাতালে পাঠানোতে সহযোগিতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের পয়েন্টম্যান শাহরিয়ার হোসেন ইমন এবং স্টেশনে প্লাটফর্মে থাকা দোকানদার মো. ডালিম মিয়া।

এসময় স্টেশনে থাকা আরএনবি শামিম এবং জিআরপি থানা সকল পুলিশ এবং স্টেশনে মাস্টার জসিম উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র নার্স স্মৃতি রানী রায় বলেন, নবজাতকের মাকে থার্ড স্টেজ ম্যানেজমেন্ট চিকিৎসা দেওয়া হয় আর নবজাতককে ক্লোরহেক্মিডিন ৭.১ দেওয়া হয়েছে। বাচ্চাটির ওজন ৩ কেজি। বাচ্চা ও মা সুস্থ থাকায় তারা নিজ দায়িত্বে চট্টগ্রাম চলে গিয়েছে।

জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সদ্য সন্তান জন্ম দেওয়া ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হতে চায়নি। বাচ্চাটি সুস্থভাবেই জন্ম হয়েছে। তাই কোনো সমস্যা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।