মাগুরা: মাগুরায় পালিত হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি। সারাদিন উপবাস থেকে সন্নাসীরা কাঠের তৈরি দেল নিয়ে বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা ও গ্রামে-গ্রামে ঘুরে নেচে গেয়ে এ চৈত্র সংক্রান্তি পালন করছেন।
শনিবার (৩০ চৈত্র ১৪২৫) বাংলা সনের শেষদিন। শেষদিন ঋতুরাজ বসন্তের। আজ চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলা বছরের শেষ দিনে ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’।
সাধারণত চৈত্র সংক্রন্তিতে মেলা, গাজন ও পূজার আয়োজন করা হয়। অতীতে চৈত্র সংক্রান্তি মেলা উপলক্ষে গ্রামাঞ্চলের গৃহস্থরা নাতি-নাতনিসহ মেয়ে-জামাইকে সমাদর করে বাড়ি নিয়ে আসতেন। গৃহস্থরা সবাইকে নতুন জামা-কাপড় দিতেন এবং উন্নতমানের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হত।
হিন্দু সম্প্রদায়ের মতে, বাংলা মাসের শেষ দিন শাস্ত্র ও লোচাকার অনুসারে স্নান দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতি ক্রিয়াকর্মকে পূণ্যের কাজ বলে মনে করা হয়।
সন্নাসী তপন ঠাকুর বলেন, আদিকাল থেকে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা ও মানব কল্যাণের জন্য চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে শীবের আরাধনা করা হয়। এ জন্য গোটা চৈত্র মাসে সন্নাসীরা নিরামিশ ভোজন ও মাসের শেষ সপ্তাহ ধরে সারাদিন উপবাস থেকে রাতে শুধু ফলমূল খেয়ে থাকেন। এভাবে উপবাস থেকে চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ ধরে সন্নাসীরা কাঠের তৈরি দেল নিয়ে পাড়া, মহল্লা ও গ্রামের পর গ্রাম হেঁটে নেচে গেয়ে শিবের আরাধনা করে থাকেন। চৈত্র মাসের শেষ দিন শিব পূজা বা চড়ক পূজার মধ্য দিয়ে যার পরিসমাপ্তী ঘটবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
আরএ