ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, উন্নয়ন এবং পরিবেশ নিয়ে অনেক দিন ধরেই খারাপ একটা চিন্তা বা সংস্কৃতি যে এটা পরস্পর বিরোধী। অনেকের ধারণা আমরা উন্নয়ন যদি করি তাহলে পরিবেশকে সুরক্ষা করে উন্নয়ন হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের বিবিএস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথভাবে আয়োজিত ন্যাশনাল রিসোর্স অ্যাকাউন্টস আন্ডার ইউএন সিস্টেম অব ইনভায়রনমেন্টাল ইকোনমি অ্যাকাউন্টিং শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন সাবের। সেখানেই এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার ও বাংলাদেশে নিযুক্ত এফএওর প্রতিনিধি জিয়াকুন শি।
সাবের হোসেন বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব তৈরি করার চেষ্টা করছি। প্রথমবার আমরা যেটা করবো সেটা হচ্ছে বেঞ্চ মার্ক। এটা প্রতি ৫ বছর, ১০ বছর ও ২০ বছর পরপর আপডেট বা রিনিউ করবো। এই বেঞ্চ মার্কিংটা যদি আমরা সঠিকভাবে করতে পারি তাহলে পরবর্তী কার্যক্রমটা সহজ হবে।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের প্রতি আমাদের যে অঙ্গীকার আছে সেটা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ডেটা লাইভ দিয়ে কাজ করবো, স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পুরোনো ডেটা দিয়ে কাজ হবে না।
তিনি আরও বলেন, এক জায়গায় বন কেটে অন্য জায়গায় গাছ লাগালে তা সমান হয় না। তবে এখন প্রভাব খাটিয়ে পরিবেশের ক্ষতির সুযোগ নেই। এখন যা হবে জাতীয় স্বার্থে হবে।
সনাতনী পদ্ধতিতে ইট পোড়ানো পরিবেশ ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি দাবি করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সনাতন পদ্ধতিতে ইট বানানোর কারণে বছরে ১৩ কোটি মেট্রিক টন মাটি ইটের ভাটায় ব্যবহার হচ্ছে। এটার কারণে পরিবেশ ক্ষতি হচ্ছে। পরিবেশ ও খাদ্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বন উজাড় হচ্ছে কৃষি জমির ক্ষতি হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, জরিপ যথাযথভাবে না হলে তথ্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয় না। বিবিএস অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জরিপগুলো করছে এতে করে তথ্য ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
এসএমএকে/এমজে