ঝালকাঠি: বিয়ের ৪০ দিনের মধ্যেই নবদম্পতি দুজনকেই তাদের স্ব স্ব জন্মস্থানে সরিয়ে নিয়েছে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা।
ঝালকাঠির গাবখান টোল প্লাজায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত বিমান বাহিনীর সদস্য ইমরান হোসেন (২৬) ও তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী নিপা আক্তারসহ পরিবারের ছয়জন সদস্যই নিহত হন।
ইমরানের সঙ্গে গত ৮ মার্চ রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামের আ. বারেকের মেয়ে নিপা আক্তারের বিয়ে হয়েছিল।
বিমান বাহিনীর সৈনিক ইমরান রাঙামাটি জেলার বাহাপানা এলাকার নুরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে সংরক্ষণ করা মরদেহ থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে ইমরানের মরদেহ তার বাবার কাছে তুলে দেয়। তার মরদেহ বিমান বাহিনীর বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স করে দাফনের জন্য রাঙামাটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তার স্ত্রী নিপার মরদেহ তার পিত্রালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
একই উপজেলার উত্তর সাউথপুর গ্রামের নিপা আক্তারের বড় বোন নাহিদা আক্তার সোনিয়া (২৮) তার স্বামী হাসিবুর রহমান (৩৩) এবং তাদের স্ত্রী, সন্তান তাকিয়া (সাড়ে ৪ বছর), তাহমিদের (৮ মাস) জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া প্রাইভেটকারের চালক একই উপজেলার বাদুরতলা গ্রামের ইব্রাহিমেরও জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে মৃতদেহ নিতে আসা বিমান সৈনিক ইমরানের বাবা নুরুল ইসলাম পুত্র শোকে পাথর হয়ে গেছেন। তিনি জানান, তার এই একমাত্র পুত্র সন্তান ও চার ভাই-বোনের সবার ছোট ইমরান। তার মৃত্যুতে মা ও বোনরা পাগল প্রায়।
প্রসঙ্গত, ১৭ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কের গাবখান ব্রিজের টোল প্লাজায় টোলের টাকা পরিশোধ করছিল একটি প্রাইভেটকার। ঠিক সেই সময়ে ঝালকাঠি শহরমুখী একটি সিমেন্টবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা প্রাইভেটকারসহ তিনটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারসহ অন্য তিনটি ইজিবাইক ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মুহূর্তেই ঝরে যায় নারী শিশুসহ ১৪ জনের প্রাণ। সেই প্রাইভেটকারের চালকসহ সাত আরোহীর সবাই নিহত হন।
** ঝালকাঠিতে ৫ গাড়িকে চাপা দিল বেপরোয়া ট্রাক, রাস্তায় ঝরল ১৪ প্রাণ
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
এসআরএস