কক্সবাজার: কক্সবাজার আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা কমিউনিটির এক নেতাকে তিনদিন পর উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। ঘটনায় জড়িত অপহরণকারী চক্রের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসাইন শামীম।
গ্রেপ্তার মো. শাহ আলম (৪২) কক্সবাজার পৌরসভার পাহাড়তলী এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে। তিনি কক্সবাজার শহর কেন্দ্রিক সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা।
উদ্ধার হওয়া মো. রফিক (৩২) উখিয়া উপজেলার ঘোনারপাড়া ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১৫ ব্লকের মো. ছোবহানের ছেলে। তিনি ক্যাম্পটির প্রধান কমিউনিটি নেতা (হেড মাঝি)।
র্যাব জানিয়েছে, গত ২১ এপ্রিল কক্সবাজার আদালতে একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসেন মো. রফিক। পরে আদালতে সাক্ষ্যদান শেষে বাড়ি ফিরতে বের হন। পরে সরকারি সংস্থার লোক পরিচয়ে সংঘবদ্ধ একটি অপরাধী চক্র তার চোখ-মুখ বেঁধে নিয়ে যায়।
পরে রফিককে অজ্ঞাত স্থানে জিম্মি রেখে অপহরণকারী চক্রের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে তার স্বজনদের কল দিয়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আর টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসাইন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক মাঝি কক্সবাজার আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে অপহরণের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে র্যাব অবহিত হয়। পরে তাকে উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে র্যাব অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে বুধবার ভোরে মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন রামু উপজেলার দরিয়ানগর এলাকার গহীন পাহাড়ে রোহিঙ্গা মাঝিকে জিম্মি রাখার খবর পাওয়া যায়। র্যাবের একটি দল ওই স্থানে অভিযান চালায়।
র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ৫/৬ জন অপহরণকারী দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এতে ধাওয়া দিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অপহৃত মো. রফিককে পাওয়া যায় বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা মাঝিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শাহ আলমকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
এসবি/এমজেএফ