পিরোজপুর: পিরোজপুরের কোরবানি ঈদের আকর্ষণ ২০ মণ ওজনের ‘কালাবাবু’। প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার কালাবাবুর চেয়ে বড় গরু জেলায় নেই।
জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারি গ্রামের সৌদিফেরত মো. আনোয়ার শেখ ওই গরুটি পালন করেছেন।
তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ওই গরুটির বয়স প্রায় ৩ বছর। গরুটি তিনি আসন্ন ইদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রি করতে প্রস্তুত করছেন। তিনি ছয় মাস বয়সের ওই গরুটি গত আড়াই বছর আগে ৬০ হাজার টাকায় স্থানীয় দীঘিরজান বাজার থেকে কেনে। গরুটি অত্যন্ত আদর যত্নে লালনপালন করেছেন। নাম রেখেছেন কালাবাবু।
তিনি আরও জানান, তিনি গত ৬ মাস আগে সৌদি আবর থেকে দেশে এসেছেন। এর আগে ওই গরুটি পালন করতেন তার স্ত্রী সাবানা বেগম। অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির কালাবাবুকে পালন করতে কোন বেগ পেতে হয়নি। দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটি পালন করা হয়েছে। খৈল, ভুসি, ভুট্টা আর কাঁচা ঘাসের পাশাপাশি পাকা কলা খাওয়ানো হয় একে। দৈনিক প্রায় ৩০-৪০টি পাকা কলা খায়। গরমের সময় দিন-রাত ফ্যান চালিয়ে রাখাসহ দৈনিক ৩ বার গোসল করানো হয়।
কালাবাবুর মালিকের স্ত্রী সাবানা বেগম বলেন, দুটি গাভীসহ মোট ৬টি গরু পালন করছি। দীর্ঘ দিন ধরে গরু পালনের সঙ্গে জড়িত আমি। তবে এই কালাবাবুকে সন্তানের মতো আদর যত্নে বড় করেছি। বিক্রির জন্য এর দাম ধরেছি ৬ লাখ টাকা। বিশাল আকৃতির ওই গরুটি কিনতে জেলা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আসছেন। কাঙিক্ষত দাম পেলেই গরুটি ছেড়ে দেব।
গরুটি ছেড়ে দিলেও খুবই কষ্ট পাবেন বলেও জানান তিনি।
বিশাল আকৃতির ওই গরু দেখতে প্রতিদিন স্থানীয়রা ভিড় করছেন।
স্থানীয় ফিরোজ কিববিয়া জানান, গরুটি বেশ বড় আকৃতির ও দেখতে সুন্দর লাগছে।
নাজিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, গরুটির খোঁজখবর নিয়মিত রাখা হচ্ছে। ফ্রিজিয়ান জাতের এমন গরু পালনে স্থানীয়দের আগ্রহী করা হচ্ছে। এখানে আরো কিছু গরু পালন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২৪
এসএএইচ